কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
ভারী বৃষ্টি এবং কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর সাত-আটটি ব্লক প্লাবিত। ১০ লক্ষের বেশি মানুষ জলবন্দি। ৪২১টি ত্রাণশিবিরে ৬৫ হাজার বাসিন্দা আছেন। কয়েক হাজার মানুষ ত্রিপল খাঁটিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই অবস্থায় ভারী বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবির এবং উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার দুর্গত মানুষের চিন্তার শেষ নেই। তাঁদের সামনে এখন নতুন বিপদ। শনিবার সকাল থেকেই দীঘায় তৎপরতা শুরু হয়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যেসব মৎস্যজীবী গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার বার্তা পাঠানো হয়েছে। উইক এন্ডে দীঘায় ভালো সংখ্যক পর্যটক সমাগম হয়েছে। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা চারদিন পর্যটকদের সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি ওল্ড দীঘা এবং নিউ দীঘা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার এগজিকিউটিভ অফিসার মানস মণ্ডল এবং রামনগর-১ বিডিও বিষ্ণু রায়। দীঘা মোহনায় গিয়ে তিনি সমুদ্রে যাওয়া মৎস্যজীবীদের শনিবারের মধ্যেই ফিরে আসার নির্দেশ দেন। জেলাশাসক বলেন, দু’টি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগবে। প্রথমটি দক্ষিণ ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে। তার প্রভাবে ২৬ ও ২৭তারিখ ভারী বৃষ্টি হবে। কিন্তু, দ্বিতীয় ঘূর্ণাবর্তের জেরে ২৮সেপ্টেম্বর আমাদের জেলায় ঘূর্ণিঝড় হবে। ২৯তারিখও তার রেশ থাকবে। আমরা এখন তার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সর্বত্র মাইকিং করা হচ্ছে। বন্যায় প্রচুর মানুষজন ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই উঁচু রাস্তা, বাঁধ এবং মাঠের উপর ত্রিপল খাঁটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের যাতে নিরাপদ জায়গায় সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টারে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এর আগে যশ সাইক্লোনের সময় চার লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছিল। এবারও উপকূল এলাকা থেকে মানুষকে সরানো হবে। পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। কারণ, বহু মৌজায় ঘরবাড়ি, অফিস, ব্যাঙ্ক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সবই জলের তলায়। মানুষের মাথা গোঁজার আশ্রয় নেই। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়াটাই জেলা প্রশাসনের কাছে কঠিন পরীক্ষা।