নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তিনি বুঝিয়েছেন, তাঁর ক্ষোভের কেন্দ্রে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেনন। উল্লিখিত চারজনকে একত্রে ‘কেডিএসএ’ (কৈলাস-দিলীপ-শিব-অরবিন্দ) হিসেবে উল্লেখ করে তথাগতবাবু ট্যুইটে লিখেছেন, ‘এই চারজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাদায় টেনে নামিয়েছেন। সারা বিশ্বের কাছে বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে কলঙ্কিত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী সদর দপ্তর হেস্টিংসের আগরওয়াল ভবনের উঁচুতলায় এবং সাত তারা হোটেলে বসে থেকে তাঁরা তৃণমূল থেকে আসা আবর্জনাদের টিকিট দিয়েছেন। এখন পার্টি কর্মীদের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে তাঁরা সেখানেই বসে আছেন এবং মনে করছেন ঝড় চলে যাবে।’ তথাগতবাবুর তোপ, ‘বিজেপির যেসব কর্মী এবং স্বয়ংসেবক ১৯৮০ সাল থেকে একটানা দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁরাই অত্যাচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু কেডিএসএ এখন আর তাঁদের কাছে যাচ্ছেন না।’
তীব্র কটাক্ষ করে ট্যুইটে তথাগতবাবু লিখেছেন, ‘নিম্নমানের, অনুপ্রেরণাহীন, ভাড়াটে মানুষদের একটি দল, যাদের কোনও রাজনৈতিক জ্ঞান নেই, বিশ্লেষণী ক্ষমতা নেই, এমনকী বাংলার স্পর্শকাতরতা নিয়ে ন্যূনতম ধারণাও নেই। রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ফিটার মিস্ত্রির শংসাপত্র। আপনারা আর কী আশা করেন?’ তথাগতবাবু লিখেছেন, ‘কেউ কেউ জানতে চাইছেন, আমি কেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দোষারোপ করছি না? কারণ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রাজ্য নেতারাই ব্রিফ করেছেন। সেই রাজ্য নেতারাই অন্ধকারে ছিলেন। এবার যেসব আবর্জনা তৃণমূল থেকে এসেছিলেন, তাঁরা ফেরত যাবেন। পার্টির মধ্যে সংশোধনের কোনও চিহ্ন দেখতে না পেলে বিজেপির পুরনো কর্মীরাও দল ছাড়বেন। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গে গোটা দলটিই শেষ হয়ে যাবে।’ বিজেপির অন্দরের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন লাগাতার বিবৃতিকে দলবিরোধী কাজ হিসেবেই দেখছে কেন্দ্রীয় পার্টি। আর সেই কারণেই পরবর্তী কোনও পদক্ষেপের জন্য তথাগতবাবুকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে।
তথাগত রায়ের মতোই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন বিজেপির সেলিব্রিটি সদস্য রূপা ভট্টাচার্য। তাঁর ট্যুইট, বর্গী এল দেশে। বুলবুলির ধান খেয়ে চলে গেলো। তার খাজনা এখন কর্মীরা দিচ্ছে। ঠান্ডা ঘরে রাজ্য নেতারা ধর্না দিচ্ছেন। যাদের আশেপাশে নিরাপত্তারক্ষী, তারা কেন ঘরে? পদাধিকারী? এমপি? এমএলএ? আর কোথায় দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে না পারা হেরো প্রার্থীরা? ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসেব নেবে এবার কর্মীরাই।