নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
রবিবার ভোটের রেজাল্ট ঘোষণার পর সোমবার সকাল থেকেই নন্দীগ্রাম বিধানসভার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ঝামেলা শুরু হয়েছে। ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে। এনিয়েই বিজেপির জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করে সহযোগিতা চান। অডিও ক্লিপ অনুযায়ী, সেই ফোনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘হিন্দুরা একটু বুঝুক। হিন্দু এলাকায় শুভেন্দু ৪০০ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩০০ভোট। অথচ মুসলিম পাড়ায় ৭০০ভোটের মধ্যে সাতশো মমতার। মুসলিম পাড়ায় বিজেপি পেয়েছে পাঁচটা, দশটা, ১২টা ১৫টা। আর আমাদের জঙ্গি কর্মীরা এখানে থাকুক। তারা জামাকাপড় নিয়ে চলে আসুক। এখন তো কোনও কাজ নেই। তাঁরা এখানে থাকলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব আমি।’
রবিবার ফল ঘোষণার পর সোমবার শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নন্দীগ্রামের একাধিক নেতার মোবাইল বন্ধ ছিল। এদিকে সোমবার সকাল থেকেই নানা জায়গায় জোর গণ্ডগোল হয়। প্রলয়বাবু শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অগত্যা তাঁকেই ফোন করেন। সেই ফোনে এই অবস্থার মধ্যেও শুভেন্দু অধিকারীকে হাসতে শোনা যায়। কেন হিন্দুরা জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে ভোট দেয়নি তা নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল পরিস্থিতি দেখে হিন্দুরা বুঝুক বলেও কটাক্ষ করেন।
এই অডিও সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কাকে ভোট দেবেন সেটা কি শুভেন্দুবাবুরাই ঠিক করে দেবেন? নাকি বিজেপি হিন্দু ধর্মের ঠিকা নিয়েছে? এসম্পর্কে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, উনি ভোটের প্রচারে হিন্দু কার্ড খেলছিলেন। সেটা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। তবে, কোনওরকম অশান্তি, হিংসা কাম্য নয়।
মঙ্গলবারও নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে। নন্দীগ্রাম থানায় পুলিস সব দলের নেতাকে নিয়ে শান্তি বৈঠক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে।