নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। আমাদের প্রশ্ন, চার ঘণ্টা সার্ভার ডাউন হল কীভাবে? দুই ঘণ্টা ভোট গণনা বন্ধ ছিল কেন? হঠাৎ করে মাঝপথে পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হল কেন? প্রত্যেকটি রাউন্ডের কাউন্টিংয়ের পর ডকুমেন্টে এজেন্টরা সই করেছেন বলে কমিশন যা বলছে, তা আমরা যাচাই করে দেখব। তিনি বলেন, কারও প্রাণ সংশয় হয়ে থাকলে সেটি প্রশাসন দেখবে। সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ প্রশাসন নেবে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের কিছু করার থাকে না। কিন্তু কমিশন মঙ্গলবার এত কথা বলছে। সোমবার রাত পর্যন্ত তো নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনেরই।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার মেনে নিচ্ছে না কংগ্রেসও। লোকসভার প্রাক্তন এমপি দিল্লির দলিত কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দিকেই আঙুল তুলেছেন। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেতার পরেও নির্বাচন কমিশন হারিয়ে দিয়েছে। বিহারেও ঠিক একই কাজ করেছিল কমিশন। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, বাংলায় আমাদের কংগ্রেস হেরে গিয়ে গোটা দেশকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে এআইসিসির সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যসভার এমপি শক্তি সিং গোহেল ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় বলেন, সীতা সতীমাতা হওয়া সত্ত্বেও প্রজাদের দাবিতে অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাহলে নির্বাচন কমিশনই বা তা দেবে না কেন? সোনিয়া গান্ধীর দলের এই জাতীয় মুখপাত্র বলেন, সার্বিকভাবে হয়তো কারচুপি সম্ভব নয়। তবে কিছু জায়গায় হতেই পারে। তাই কমিশনের বিরুদ্ধে যখন নন্দীগ্রামে কারচুপির অভিযোগ উঠছেই, তখন নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণে কেন পুনর্গণনা হচ্ছে না? তার মানেই তো গড়বড় রয়েছে। জনগণের দাবিতে অগ্নিপরীক্ষা দিক কমিশন। গুজরাতের এই কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, কেবল নন্দীগ্রাম নয়, এর আগেও বহু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। তাই এ ধরনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
রাজ্যে দলের দুরবস্থা সত্ত্বেও এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের জয়কে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপিকে রোখার কাণ্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আজকের ঝাঁসির রানি’ আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেসের দুই এমপি কপিল সিবাল এবং মণীশ তিওয়ারি। তাঁরা বলেছেন, যত বাধা বিপত্তিই আসুক, দুঃসাহসী নেত্রী নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন। কংগ্রেস বলেছে, নেতা-কর্মী নিজের হতে পারে। কিন্তু ভোটার কখনও কারও কেনা হয় না। তাই মোদি-অমিত শাহকে আটকাতে বাংলার ভোটাররা যে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন, তাকে সাধুবাদ জানাই। ভোটারদের স্যালুট যে, তাঁরা নরেন্দ্র মোদিকে চিনেছেন!