নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা বিমানবন্দরের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। আরও বিমান রাখার পরিকাঠামো তৈরিতে জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ৫৩টি বিমান পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে কলকাতায়। আরও ১৯টি বিমান রাখার জন্য নতুন করে পার্কিং এরিয়া তৈরি করা হচ্ছে। যাতে খরচ হচ্ছে ১২৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় চারমাস কাজ বন্ধ ছিল। ফের কাজে গতি বাড়িয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী জুনের মধ্যে নতুন পার্কিং এরিয়া তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দেশের আকাশ পথের মানচিত্রে কলকাতা বিমানবন্দর আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে। দেশের প্রতিটি শহরের সঙ্গে কলকাতার আকাশ পথে যোগাযোগ বেড়েছে। তেমনই বিশ্বের একাধিক দেশ থেকে প্রায় রোজই কলকাতায় বিমান নামছে। পাশাপাশি কলকাতা থেকে বিমান যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। দেখা গিয়েছে, যাত্রী সংখ্যাতেও রেকর্ড গড়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। রোজ গড়ে শতাধিক বিমান আসা-যাওয়া করছে। ২৮ অক্টোবর ১২৬টি কলকাতা থেকে ছেড়ে গিয়েছে। আর কলকাতায় এসেছে ১২৭টি বিমান। ভবিষ্যতে সংখ্যাটি আরও বাড়তে চলেছে। দৈনিক আসা-যাওয়া মিলিয়ে বিমানের সংখ্যা ৩০০-য় পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অফিসাররা। ফলে, কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে বাড়তি জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যাত্রী সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যে একাধিক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে ঢাকা-কলকাতা বিমান চালু হয়েছে। বর্তমানে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস ঢাকা-কলকাতা বিমান চালাচ্ছে সপ্তাহের ছ’দিন। ৩ নভেম্বর থেকে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট প্রভৃতি এয়ারলাইন্স কলকাতার সঙ্গে ঢাকার বিমান চালু শুরু করছে। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামের সঙ্গে কলকাতার বিমান যোগাযোগ শুরু হচ্ছে। এটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা অনিল পাঞ্জাবি।
তাঁর বক্তব্য, চিকিৎসার প্রয়োজনে ও ব্যবসায়িক কারণে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসছেন। বিমানের সংখ্যা যত বাড়ছে ততই তাঁদের আগমনের হার বাড়ছে। ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার পূর্ব ভারতের কর্তা মানব সোনি বলেন, ঢাকা-কলকাতা বিমান যোগাযোগ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা আশাবাদী, সিঙ্গাপুর-সহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে কলকাতার বিমান যোগাযোগ শীঘ্রই শুরু হবে।