গম ভর্তি বস্তার গায়ে সরকারি সিলমোহর। ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার (এফসিআই) লোগো। অথচ, বস্তা কিংবা গমের মালিক সরকার নয়! পুলিস, প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দিব্যি ৫ হাজার ২৫০ টন গম রপ্তানি হয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশে! পর্দা ফাঁস হল শুল্কদপ্তরের তৎপরতায়।
খুচরো বাজারে আলুর চড়া দাম অনেক দিন ধরে চলছে। পুজো শেষ হওয়ার পরেও অধিকাংশ বাজারে ৩৪-৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফাবাজির জন্য আলুর এই চড়া দাম কি না সেই প্রশ্ন স্বাভবিকভাবেই উঠেছে।
রাজ্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকের সংখ্যা ৫০ লাখ ছুঁতে চলেছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৯ লক্ষ ৮৮ হাজার কৃষক এই প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজো এবার হচ্ছে নমো নমো করে। তা সে বারোয়ারি দুর্গাপুজো হোক কিংবা বাড়ির কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল বৃহস্পতিবারের শহরের বাজারগুলিতে। বেচাকেনা বেশ কম। ব্যবসায়ীরা গোমরা মুখে বসে। এদিকে করোনা আর দুর্গাপুজোর ঝক্কি সামলে ক্রেতাদের পকেটেও টান। তাও ছোট করে হলেও লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু গিয়ে দামের আগুনে ছেঁকা খাচ্ছেন। ফল-মূল থেকে সব্জি, ফুল-মালা সবকিছুরই বিরাট দাম।
লক্ষ্মীবারের সকালে গড়িয়াহাট মার্কেট দেখে বোঝাই গেল না রাত পোহালেই লক্ষ্মীপুজো। অন্যান্য বছর যে ভিড় থাকে তা দেখা যায়নি এদিন। ফুটপাতের উপর একটিমাত্র প্রতিমার দোকান। ব্যবসায়ী অলোক সাহা জানালেন, অন্যান্য বছর প্রতিমার চাহিদা এতটাই বেশি থাকে গড়িয়াহাট মোড় এলাকায় দু’টি দোকান দেন তিনি। তবে এ বছর একটিতেও ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছেন না এই প্রতিমা ব্যবসায়ী। প্রতিমার দাম ১০০-৪০০ টাকা। শাড়ি পরা হলে আরেকটু বেশি। তবে প্রতিমার চাহিদা একেবারেই নেই। অনেকে বাড়িতেই ফটো কিংবা ঘটে পুজো সেরে নিচ্ছেন।
প্রতিমা ছেড়ে বাজারে ঢুকলে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। প্রতি কেজিতে আপেল ১০০ টাকা, বেদানা ১০০ টাকা, পেয়ারা ৬০-৭০ টাকা, ন্যাসপাতি ১২০-১৪০ টাকা। একটি গোটা আখ ১০০-১২০ টাকা, কেটে নিলে দাম ১০ টাকা পিস। ছোট শিষ ডাব ৩০ টাকা প্রতি পিস। এক ডজন কাঁঠালি কলা প্রায় ৫০-৬০ টাকা। গড়িয়াহাট মার্কেটে পুজোর বাজার করতে আসা স্থানীয় এক বাসিন্দা সোমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দাম অত্যধিক। পুজোর বাজারে যে পরিমাণ জিনিসপত্র থাকা উচিত তাও নেই। বাড়ির পুজো কোনওরকমে করা হচ্ছে।
ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফুলের দামও। ভালো গাঁদার মালা ৩০-৪০ টাকা। কুচো ফুল নিতে গেলে বাজার বিশেষে ন্যূনতম ২০-২৫ টাকা দিতে হবে। ভালো ধানের শিষ কিনতে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ৫-১০ টাকা। কোজাগরী উপাসনার অন্যতম সামগ্রী পদ্ম। বাজারে তার দাম প্রতি পিসে প্রায় ৩০-৩৫ টাকা। শ্যামবাজারের বাসিন্দা বৃদ্ধ আনন্দ সরকার বলেন, এবার কোনওভাবে নমো নমো করে পুজো সারছি। বাড়িতে পুরোহিতও ডাকছি না। আমার স্ত্রী লক্ষ্মী ব্রতকথা পাঠ করবেন, তাতেই পুজো হবে।
দক্ষিণ হোক কিংবা উত্তর। পুজোর বাজারে দামের হেরফের নেই খুব একটা। শ্যামবাজার, মানিকতলা, কিংবা শিয়ালদহ কোলে মার্কেটে সেই উপচে পড়া ভিড় এবছর চোখে পড়েনি। উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, লক্ষ্মী লাভের আশা থাকলেও পকেট সায় দিচ্ছে না। ফুল-ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজো উপলক্ষে শাক-সব্জির দামও কিছু কম নয়। জ্যোতি আলু ৩৫, চন্দ্রমুখী ৪০-৫০, ছোট ফুলকপি ৩০-৪০, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, ছোট লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা। দামের তালিকা শুনে আঁতকে উঠলেন এন্টালির আনন্দ পালিত রোডের বাসিন্দা সুব্রত হালদার। বললেন, ফলমূল-সব্জি, প্রতিমা কোনও কিছুতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। অল্প ফল ও ছোট প্রতিমায় এবার পুজো সারব।
লক্ষ্মীবারের সকালে গড়িয়াহাট মার্কেট দেখে বোঝাই গেল না রাত পোহালেই লক্ষ্মীপুজো। অন্যান্য বছর যে ভিড় থাকে তা দেখা যায়নি এদিন। ফুটপাতের উপর একটিমাত্র প্রতিমার দোকান। ব্যবসায়ী অলোক সাহা জানালেন, অন্যান্য বছর প্রতিমার চাহিদা এতটাই বেশি থাকে গড়িয়াহাট মোড় এলাকায় দু’টি দোকান দেন তিনি। তবে এ বছর একটিতেও ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছেন না এই প্রতিমা ব্যবসায়ী। প্রতিমার দাম ১০০-৪০০ টাকা। শাড়ি পরা হলে আরেকটু বেশি। তবে প্রতিমার চাহিদা একেবারেই নেই। অনেকে বাড়িতেই ফটো কিংবা ঘটে পুজো সেরে নিচ্ছেন।
প্রতিমা ছেড়ে বাজারে ঢুকলে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। প্রতি কেজিতে আপেল ১০০ টাকা, বেদানা ১০০ টাকা, পেয়ারা ৬০-৭০ টাকা, ন্যাসপাতি ১২০-১৪০ টাকা। একটি গোটা আখ ১০০-১২০ টাকা, কেটে নিলে দাম ১০ টাকা পিস। ছোট শিষ ডাব ৩০ টাকা প্রতি পিস। এক ডজন কাঁঠালি কলা প্রায় ৫০-৬০ টাকা। গড়িয়াহাট মার্কেটে পুজোর বাজার করতে আসা স্থানীয় এক বাসিন্দা সোমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দাম অত্যধিক। পুজোর বাজারে যে পরিমাণ জিনিসপত্র থাকা উচিত তাও নেই। বাড়ির পুজো কোনওরকমে করা হচ্ছে।
ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফুলের দামও। ভালো গাঁদার মালা ৩০-৪০ টাকা। কুচো ফুল নিতে গেলে বাজার বিশেষে ন্যূনতম ২০-২৫ টাকা দিতে হবে। ভালো ধানের শিষ কিনতে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ৫-১০ টাকা। কোজাগরী উপাসনার অন্যতম সামগ্রী পদ্ম। বাজারে তার দাম প্রতি পিসে প্রায় ৩০-৩৫ টাকা। শ্যামবাজারের বাসিন্দা বৃদ্ধ আনন্দ সরকার বলেন, এবার কোনওভাবে নমো নমো করে পুজো সারছি। বাড়িতে পুরোহিতও ডাকছি না। আমার স্ত্রী লক্ষ্মী ব্রতকথা পাঠ করবেন, তাতেই পুজো হবে।
দক্ষিণ হোক কিংবা উত্তর। পুজোর বাজারে দামের হেরফের নেই খুব একটা। শ্যামবাজার, মানিকতলা, কিংবা শিয়ালদহ কোলে মার্কেটে সেই উপচে পড়া ভিড় এবছর চোখে পড়েনি। উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, লক্ষ্মী লাভের আশা থাকলেও পকেট সায় দিচ্ছে না। ফুল-ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজো উপলক্ষে শাক-সব্জির দামও কিছু কম নয়। জ্যোতি আলু ৩৫, চন্দ্রমুখী ৪০-৫০, ছোট ফুলকপি ৩০-৪০, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, ছোট লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা। দামের তালিকা শুনে আঁতকে উঠলেন এন্টালির আনন্দ পালিত রোডের বাসিন্দা সুব্রত হালদার। বললেন, ফলমূল-সব্জি, প্রতিমা কোনও কিছুতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। অল্প ফল ও ছোট প্রতিমায় এবার পুজো সারব।
