কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে কমব্যাট ফোর্সের বিক্ষোভের জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন লালবাজারের কর্তারা। ডিসি কমব্যাট ব্যাটালিয়ান নভেন্দ্র সিং পল বিক্ষোভ সামাল দিতে গেলে তাকেও হেনস্তা করেন কমব্যাট ফোর্সের কর্মীরা। এই বাহিনীর সদস্যদের দাবি, মাস্ক-পিপিই ছাড়া ডিউটি করানো হচ্ছে। এমনকী সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত ডিউটি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। কোয়ারেন্টাইনে থাকা কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের রাখা হচ্ছে। পুলিসের মতো একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীতে বেনজির এই বিক্ষোভকে ঘিরে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে যায়। রাতেই নগরপাল অনুজ শর্মার কাছ থেকে বিষয়টি শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে যাওয়ার পথে তিনি পিটিএস-এ হাজির হন। মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই তাঁরা সমস্বরে চিৎকার করতে শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা সংগঠিত ফোর্স, এভাবে চিৎকার করবেন না। এরপর তাঁদের তরফে একজন বলেন, এখানে ক্যান্টিনের খাওয়া-দাওয়া খুব খারাপ। সেই সঙ্গে স্পেশালিস্ট ফোর্স হিসেবে রিস্ক অ্যালাউন্স-এর কথাও তোলেন তিনি। ডিসিকে সরানোর দাবিও ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দেন, এখানকার প্রতিটি আবাসনে গিয়ে তাঁদের অভিযোগ লিখিত আকারে নিতে। তার এক কপি তাঁকে এবং আর একটি নগরপালকে জমা দিতে বলেন। দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। তাঁর কাছ থেকে এই আশ্বাস পেয়ে কর্মীরা শান্ত হন। এই বিক্ষোভ নিয়ে কমব্যাট ব্যাটালিয়নের ডিসিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘নো কমেন্টস’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
হঠাৎ করে কেন এই বিক্ষোভ, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করেছে লালবাজার। কারা এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাও দেখা হচ্ছে। এমনকী বিক্ষোভের ছবি কে বা কারা ভাইরাল করল এবং এর পেছনে রাজনৈতিক কোনও মদত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি দেখা যায় সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পনামাফিক এই বিক্ষোভ করা হয়েছে, তাহলে যাঁরা সামনের সারিতে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।