ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
রাজ্য সরকারি দপ্তরে কর্মরত গ্রুপ এ, বি এবং সি শ্রেণীর কর্মী ও আধিকারিকদের জিপিএফ-এ নজরদারি করে এজি অফিস। গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই কাজ করে অর্থ দপ্তরের ডিরেক্টরেট অব পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড। সরকারি কর্মীরা প্রতি আর্থিক বছরের জিপিএফ তহবিলের হিসেবের রসিদ পান। এতদিন ওই রসিদ দেখিয়ে কর্মীরা জিপিএফ তহবিল থেকে ঋণ বা অগ্রিম নিতেন। এই ব্যবস্থায় অনিয়ম করার সুযোগ ছিল। এর সুযোগ নিয়ে তহবিলে জমা পড়া টাকার তুলনায় বেশি টাকা ঋণ বা অগ্রিম হিসেবে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গ্রুপ ডি কর্মীদের বিষয়টির দেখভাল যেহেতু এজি অফিস করত না, তাই অনিয়ম বেশি সেখানেই হয়েছে। কর্মীরা অবসর নেওয়ার পর অতিরিক্ত টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে এজি-র। কারণ সব কর্মীর অবসরকালীন প্রাপ্য চূড়ান্ত করতে এজি-র অনুমোদন নিতে হয়। সরকারি সূত্রের খবর, তহবিলে জমা পড়া টাকার থেকে বেশি পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষ চক্র দপ্তরে সক্রিয় থাকত।
কিন্তু এখন পুরো ব্যবস্থাটি অনলাইনে চলে আসছে। এইচআরএমএস পোর্টালে কর্মীর জিপিএফের সর্বশেষ হিসেব থাকবে। পোর্টালে ঢুকে তা জেনে নিয়ে ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করা হবে। ফলে অতিরিক্ত টাকা মঞ্জুর করার কোনও সুযোগ থাকছে না।
জিপিএফ তহবিলের তথ্য কর্মীর এইচআরএমএস পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অর্থ দপ্তর ইতিমধ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে। আগামী ৫ মার্চের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। কর্মীদের ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের জিপিএফ তহবিলের রসিদ স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। প্রতি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা এই কাজ করবেন। এটা করার পর থেকে কর্মীর জিপিএফ তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে তার বিস্তারিত তথ্য এইচআরএমএস পোর্টালে থাকবে। এতে কর্মীদেরও সুবিধা হবে। কর্মীরা পোর্টালে গিয়ে যে কোনও সময় জিপিএফ-এর হিসেব দেখে নিতে পারবেন। এতদিন এর জন্য আর্থিক বছরের শেষে কখন রসিদ পাওয়া যাবে, তার অপেক্ষায় থাকতে হতো।