কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বিগত এক বছরে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ভালো মানের হেরোইন ও ব্রাউন সুগার। গোয়েন্দারা জানতে পারছেন, ইয়াবা ও হেরোইনের সিংহভাগই যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। কাঁচামাল সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন জেলায় নিয়ে এসে এই মাদক তৈরি করা হচ্ছে।
কেন মাদক ব্যবসায় অর্থ জোগাচ্ছে কারা, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন গোয়েন্দারা। বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়া ব্যক্তিদের জেরা করে তাঁরা জানতে পারেন, বকলমে এই ব্যবসার পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে পাকিস্তানের আইএসআই। বাংলাদেশে একাধিক এজেন্ট রয়েছে তাদের। আর তাদের মাধ্যমেই এপার বাংলার মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইএসআইয়ের কর্তারা। প্রস্তাব দেওয়া হয়, এই ব্যবসা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়ার। বাংলাদেশের সঙ্গে এরাজ্যের সীমানা রয়েছে। যাতায়াতের সুবিধা থাকার কারণে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত লাগোয়া এলাকাকে বাছাই করা হয়। সেখানে মাদক কারবারে যারা জড়িত, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে আইএসআইয়ের এজেন্টরা। বিপুল টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের নামানো হয় ইয়াবার কারবারে। টাকার পুরোটাই হাওলার মাধ্যমে পাঠাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। অর্থের লোভে সীমান্ত লাগোয়া এলাকার বহু বাসিন্দা এই কারবারে জড়িয়ে পড়ে।
ইয়াবার পাশাপাশি হেরোইনের মতো মাদক ঢোকানোর কাজও শুরু করে আইএসআই। চট্টগ্রাম থেকে ঘুরপথে অপরিশোধিত মাদক উত্তর পূর্ব ভারতে পাঠানো হয়। এরপর তা যায় উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে। এখানকার বিভিন্ন জায়গায় ভালো মানের হেরোইন ও ব্রাউন সুগার তৈরি হচ্ছে। সেখানে তা পরিশুদ্ধ করার পর এরাজ্যে নিয়ে আসছে মাদক কারবারিরা। এই পরিশোধনের পুরো টাকাটাই আইএসআই দিচ্ছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পারছেন। নিষিদ্ধ মাদক ব্যবসার প্রসারের জন্য এই পাক গুপ্তচর সংস্থা সম্প্রতি বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেছে বলে আধিকারিকরা জানতে পারছেন।
এতে আইএসআইয়ের স্বার্থ কী? গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য, জেএমবি, লস্কর ই তোইবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে মদত দিচ্ছে আইএসআই। এই জঙ্গি সংগঠনগুলির একাধিক স্লিপার সেল চলছে এরাজ্যে। প্রশিক্ষণ শিবির চালানো থেকে শুরু করে নাশকতার জন্য ভালো অঙ্কের টাকার প্রয়োজন হয়। মাদক ব্যবসায় যেহেতু মোটা অঙ্কের লাভ রয়েছে তাই এই ব্যবসাকেই বেছে নেয় আইএসআই। এখান থেকে আসা টাকা যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনের তহবিলে। পাশাপাশি তরুণ সম্প্রদায়কে বিপথে নিয়ে যাওয়াও উদ্দেশ্য তাদের।