কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এমপিএস গোষ্ঠীর প্রভূত স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ঝাড়গ্রাম ও সংলগ্ন বিনপুর থানা এলাকার দিঘিশোল গ্রামে। ঝাড়গ্রামে প্রায় ৫০০ একর জমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তৈরি হয়েছিল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সহ নানা কৃষি উৎপাদন শিল্পের উপযোগী পরিকাঠামো। ছিল আধুনিক সুবিধাযুক্ত অফিস। বিনপুরের ঠিকানায় কৃত্রিম অরণ্য নির্মাণ সহ গাছগাছালি নিয়ে গড়ে উঠেছিল নানা উদ্যোগ। আদালতের নির্দেশে সেইসব কর্মকাণ্ড স্তব্ধ হয়েছে। সেগুলির দরজায় তালাও পড়েছে। কিন্তু, সাম্প্রতিক শুনানিতে অভিযোগ করা হয়, সেইসব সম্পত্তির উপযুক্ত পাহারার ব্যবস্থা না থাকায় দুষ্কৃতীরা যেমন খুশি চুরি করছে। ঠেকানোর কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নেই।
প্রতারিতদের অর্থ ফেরানোর স্বার্থে হাইকোর্ট গড়ে দিয়েছিল এক সদস্যের কমিটি। প্রতারক সংস্থাগুলির সম্পত্তি আইনত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর এই কমিটির হেফাজতে আসছে। যা নিলাম করে প্রাপ্ত অর্থ প্রতারিতদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করছে এই কমিটি। সেই কমিটিও অভিযোগ করেছে যে, লেকটাউনে এক চিটফান্ড সংস্থার সম্পত্তিতে চুরি হয়েছে। কিন্তু, স্থানীয় থানা কমিটির প্রতিনিধির কাছ থেকে অভিযোগ নেয়নি।
অভিযোগগুলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেঞ্চ রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিসকে বলেছে, এমপিএস গোষ্ঠীর স্থাবর সম্পত্তি রক্ষা ও সংরক্ষণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে আগামী শুনানির দিন রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। লেকটাউনের ১৭৬ নম্বর ঠিকানায় থাকা সম্পত্তির যথাযথ সংরক্ষণে ওই থানার ওসিকে অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিনপুর ও ঝাড়গ্রাম থানার ওসিদেরও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যেসব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সিবিআই ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে, তা তথ্য সহ আদালতে পেশ করার নির্দেশ জারি হয়েছে। ওদিকে পিনকন গ্রুপ অব কোম্পানিজের তরফে যে টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করা হয়েছিল, তা এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কাছে জমা পড়েনি বলে আদালতকে জানানো হয়।