কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
কলকাতায় শনি ও রবিবার সব মিলিয়ে ১০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন গণেশবাবু। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি এবং নদীয়ায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। গণেশবাবু বলেন, আমরা প্রতি মুহূর্তে এই ঘূর্ণিঝড়ের মতিগতি পর্যবেক্ষণ করছি। এখনও পর্যন্ত রে যা চরিত্র, তাতে মনে হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের খুব কাছে চলে এলেও তা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে ঝোড়ো হাওয়া চলবে। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে তা বইবে উপকূলের জেলাগুলিতে। উপকূল সংলগ্ন অংশে হাওয়ার দাপট বেশি থাকবে।
এদিকে, কয়েকমাস আগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র পর ফের ‘বুলবুল’-এর আগমন বার্তায় তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা। এখনও পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে খোঁজখবর নেওয়া হয়। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এনিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী দিয়ে দিয়েছে। কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, বর্ষার সময়ে নিকাশির জন্য যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা করা হয়, তার স্থায়িত্ব ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তাই নতুন করে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। তবে ‘বুলবুল’-এর জন্য পুরসভার কন্ট্রোল রুম এই ক’দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। উদ্যান বিভাগের তরফেও তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। গাছপালা ভেঙে পড়লে দ্রুত তা সরানোর জন্য কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে এমন অসময়ের বৃষ্টির পূর্বাভাসে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা। বিভিন্ন জায়গায় ফের বৃষ্টির জল দাঁড়ালে ডেঙ্গুর মশার উপদ্রব বাড়তে পারে, তা ভেবেই চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।