কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
এদিকে, বুলবুল ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও নবান্নে ওই টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। টাস্ক ফোর্সে কৃষি, বিদ্যুৎ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, সেচ, পূর্ত, মৎস্য, খাদ্য ও প্রক্রিয়াকরণ, পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জলসম্পদ উন্নয়ন, সুন্দরবন উন্নয়ন, স্বরাষ্ট্র, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব বা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রয়েছেন। তাঁদের নিয়েই এদিন বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকে তিনি নির্দেশ দেন, ফিল্ড অফিসারদের সমীক্ষা করে আজ, বুধবারের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে ওই রিপোর্ট দিতে হবে। ঘরে বসে রিপোর্ট তৈরি করা যাবে না।
আজ, বুধবার ওই ক্ষয়ক্ষতির হিসেব সহ রিপোর্ট নবান্নে আসার পর তা নিয়ে একযোগে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে। কেন্দ্রের যে টিম আসবে, সেই টিমের হাতেও তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে রাজ্য স্তরে যেমন টাস্ক ফোর্স হয়েছে, তেমনই জেলাস্তরেও টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে। মূলত দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে জেলাশাসকের নেতৃত্বে ওই টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। সেই টাস্ক ফোর্সে জেলার সভাধিপতি সহ ওই ১৪টি দপ্তরের অফিসারদের রাখা হয়েছে।
এদিনের বৈঠকের পরে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সেই রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। সরকারিভাবে মৃত্যুর সংখ্যা সাত। তবে এখনও নিখোঁজ আটজন। তবে কোনও ত্রাণ শিবিরে কেউ নেই। সকলেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। যাঁদের বাড়ির ছাদ বা চাল উড়ে গিয়েছে, তাঁদের সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। যাঁরা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সকলের পাশে আছে সরকার। প্রথমে ন’টি জেলাকে ক্ষতিগ্রস্ত ধরা হলেও এখন প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হিসেবে তিনটিকে ধরছে রাজ্য সরকার। সেই জেলাগুলি হল, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। সেখানকার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে ভালোরকম ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত, দুই ২৪ পরগনায় চাষের খুব ক্ষতি হয়েছে। মূলত ধান ও সব্জি চাষে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই দুই ২৪ পরগনার সব্জি আসে কলকাতায়। ফলে এই দুই জেলায় চাষের ক্ষতি হলে কলকাতায় তার প্রভাব পড়বে। কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা দেখতে এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় যান মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। কৃষকদের সবরকম সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়। আজ বসিরহাট যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।