Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 
নভেম্বর ৪, ২০১৯ তারিখটা ভারতের ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন হিসেবেই সংযোজিত হয়ে গেল। বৃহৎ আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য আরসিইপি (রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ) থেকে ভারত আপাতত দূরে থাকার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে এই দিনটিতে। ক্রমোন্নত ভারত যে তার স্বার্থ ও সুরক্ষার প্রয়োজনে যে-কোনও সাহসী পদক্ষেপ করতে সক্ষম, এই সিদ্ধান্তটি দেশকে সেই মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে আজকের নতুন ভারত থেকে নতুন আত্মপ্রত্যয়ের প্রতিফলন ঘটছে।
আরসিইপি-তে ভারত যোগদান না-করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কারণটি সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি বলেছেন, ‘‘আরসিইপি-তে কোন স্বার্থে ভারতের যোগদান করা প্রয়োজন, তা খুঁজতে গিয়ে আমি কোনও ইতিবাচক উত্তর পাইনি। গান্ধীজির আত্মনির্ভর- শীলতার নীতি এবং আমার চিন্তাচেতনা —কোনও দিক থেকেই আরসিইপি-তে ভারতের যোগদানের সম্মতি পাইনি।’’
সিদ্ধান্তটি এই কারণে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে, এটা দেখিয়ে দিয়েছে—কৃষক, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী, টেক্সটাইল, ডেয়ারি ও ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প, ওষুধ, ইস্পাত ও রাসায়নিক শিল্পের স্বার্থরক্ষার প্রয়োজনে তিনি যত দূর সম্ভব যেতে পারেন। এই বাণিজ্য চুক্তিটি যেহেতু ভারতের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি বা ক্ষতি এবং পণ্যের অনাবশ্যক ডাম্পিংয়ের বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রাখে না, তাই তিনি বিষয়টির সঙ্গে কোনোরকম আপস করেননি। যে-কোনও একপেশে এবং দেশের কৃষক ও শিল্পোদ্যোগীদের স্বার্থ-বিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ভারতের যোগদান করা অনুচিত বলে আমিও মনে করি। এই ব্যাপারে আমার মনোভাবও খুব স্পষ্ট ও দৃঢ়।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার দেশের স্বার্থরক্ষায় কতটা ব্যর্থ ছিল তা আমরা জানি। ২০০৭ সালে তৎকালীন সরকার চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তিতে (আরটিএ) শামিল হওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছিল। ইউপিএ জমানায় চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল? ভারতের বাণিজ্যিক ক্ষতি ২৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। যে ক্ষতির পরিমাণ ২০০৫ সালে ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, সেটা ২০১৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশীয় শিল্পের উপর এই আঘাত কী ভয়ানক হয়েছিল তা আর বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।
বস্তুত কংগ্রেসের ইতিহাস হল ভারতের কৃষক ও শিল্পের স্বার্থের সঙ্গে আপস করা। এর একটি দৃষ্টান্ত—২০১৩ সালের বালি এগ্রিমেন্ট। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে তৎকালীন বাণ্যিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লুটিও) সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে কৃষিতে ভর্তুকি এবং সহায়ক মূল্যের যে ব্যবস্থা ও অবস্থান আমাদের রয়েছে সেটাকে বিস্ময়করভাবে তাঁরা দুর্বল করে দিলেন। যদি না ২০১৪ সালে যথাসময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হস্তক্ষেপ করতেন কৃষকের বিরাট ক্ষতি হয়ে যেত। আমাদের কৃষকদের স্বার্থে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইউপিএ সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি বাতিল করে দিয়েছিলেন।
এটাই মজার ব্যাপার যে, এই ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলি নিয়ে যে-কংগ্রেসের দুর্বল ভূমিকার ইতিহাস আমরা জানি, সেই কংগ্রেসই আরসিইপি থেকে প্রধানমন্ত্রীর দূরে থাকার সিদ্ধান্তের কৃতিত্বের ভাগ দাবি করছে এবং মরিয়া হয়ে! বস্তুত, ইতিহাসই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে কংগ্রেস নেতৃত্বের দূরদৃষ্টির অভাবের কারণেই ভারতকে এই ধরনের দেশের স্বার্থ-বিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তির অংশ হতে হয়েছিল। আদি রূপ ধরলে আরসিইপি-তে আসিয়ানভুক্ত দশটি দেশের বাইরে শুধুমাত্র চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যোগ দিয়েছিল। কংগ্রেসের দূরদর্শিতার অভাব এবং ছোট উদ্যোগী ও কৃষকদের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ না-থাকার জন্যই ইউপিএ সরকার এই ধরনের আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর অংশ হয়েছিল। গোড়া থেকেই স্পষ্ট যে এটাই ভারতে অবাধে চীনা পণ্য প্রবেশের ‘ফ্লাড গেট’ খুলে দিতে পারত। অন্যদিকে, এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীভুক্ত কোনও দেশের উপর ভারত তার পক্ষে অনুকূল কোনও বাণিজ্য-শর্ত আরোপ করতে পারেনি।
আসিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া এগ্রিমেন্টেও (এফটিএ) ভারতের স্বার্থের সঙ্গে কংগ্রেস আপস করেছিল। অথচ, ভারতের মতো দুর্বল মানসিকতার পরিচয় দেয়নি তুলনায় ছোট দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনাম। যেখানে ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনাম তাদের মার্কেট শেয়ারের যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ৬৯ শতাংশ ভারতের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেখানে ভারত তাদের পণ্যের বাজারের ৭৪ শতাংশ এই বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। এমন কিছু অবিবেচক সিদ্ধান্তের সৌজন্যেই আরসিইপি দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যে আমাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ ২০০৪ সালের ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০১৪ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার হালফিল বিনিময় মূল্যমানে বলতে হয়—ক্ষতির পরিমাণ ২০০৪ সালের ৫০ হাজার কোটি টাকা থেকে ২০১৪ সালে বেড়ে হয়েছিল ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
২০১৪ সালে মোদি সরকার আসার পর থেকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ভুল সিদ্ধান্তগুলির ধারাবাহিক সংশোধন জারি রয়েছে। আরসিইপি আলোচনায় ভারত সবসময় দৃঢ়তার সঙ্গে তার স্বার্থ সুরক্ষার উপর জোর দিয়েছে। সদস্য দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যে অনুকূল শর্তই আরোপ করেছে ভারত। যেমন অন্যসকল শর্তাবলির সঙ্গে এই প্রথমবার ভারতের জন্য সার্ভিস সেক্টর
উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং ভারত থেকে বেশি পরিমাণ পণ্য রপ্তানির শর্ত চাপানো হয়েছে।
চুক্তি ২০১৬ সাল থেকে কার্যকরী হবে ধরে নিয়েও, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারিতে প্রযোজ্য আমদানি শুল্কের (ইমপোর্ট ডিউটি) ভিত্তিতে (বেস রেট) কংগ্রেস আরসিইপি-র অংশ হয়ে উঠতে ব্যগ্র ছিল। ২০১৪ সালের বেস রেট মেনে নিয়ে এই ব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার কারণে ভারতের বাজারে বিদেশি প঩ণ্যের প্রবেশ অবাধ হয়ে যেত এবং তাতে আমাদের দেশীয় শিল্পের সর্বনাশ হতে পারত। অবশ্য, গত কয়েক বছরে অনেকগুলি বিদেশি পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালের বেস রেট ধার্য করার দাবিতেই সওয়াল করে গিয়েছেন।
আরসিইপি কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী মোদিজি এবং তাঁর বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দেশের কৃষক, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী এবং ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের স্বার্থরক্ষার বিষয়েই তাঁদের মতামত পেশ করে গিয়েছেন। তাঁরা এই বিষয়ে যেসব সংশোধনী দাবি করেছেন তারও পিছনে ছিল শুধু দেশের স্বার্থ।
তাঁদের পেশ করা প্রধান ও উল্লেখ্যযোগ্য দাবিগুলির মধ্যে ছিল: ট্যারিফ ডিফারেন্সিয়াল সংশোধন, কাস্টমস ডিউটির বেস রেট পরিবর্তন, চুক্তির অংশ হিসেবে ‘র‌্যাচিট অবলিগেশনস’ (একমুখী ব্যবস্থা)-এ ছাড় এবং লগ্নির সময় ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থাকে মর্যাদা দানের দাবি। অগ্রণী ইস্যুগুলির সমাধানে ভারত যে আপস না-করার নীতিতে অবিচল হতে পেরেছে, তার জন্য মোদিজির ‘ডায়নামিক’ ব্যক্তিত্বের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। সত্তরটি আইটেমের অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় ভারতের উদ্বেগের বিষয় ছিল পঞ্চাশটি—তার থেকেই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয়েছে।
আমরা আসিয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কমপ্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) পুনর্মূল্যায়নের কাজ শুরু করেছি। জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় এবং অন্য উন্নত দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যসম্পর্ক প্রভাবিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উদ্যোগ ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতিতে উন্নীত করতে সাহায্য করবে। এবং, প্রত্যাশিত যে, আমাদের কৃষকরা, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীরা এবং ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর এর সুবিধা পাবে।
আমরা বুঝতে পারছি যে, মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে।
 লেখক ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
 
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
সবার হাতে কাজ ছাড়া ‘সবকা বিকাশ’ অসম্ভব, মন্দির-মসজিদে তো পেট ভরবে না
হিমাংশু সিংহ

২০১৯ প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছর আসতে আর বাকি দেড় মাসের সামান্য বেশি। বছরের শুরুটায় আপামর দেশবাসী মেতেছিল সাধারণ নির্বাচন নিয়ে। পাঁচবছরের জন্য কে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে তা ঘিরে রাজনৈতিক দাপাদাপি আর তরজায় জমজমাট ছিল বছরের শুরুটা। বিশদ

10th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

09th  November, 2019
ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন।
বিশদ

07th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। 
বিশদ

04th  November, 2019
অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিদেশিদের সফর, রহস্যময়ী
ম্যাডি শর্মা ও পাঁচ বাঙালির নৃশংস হত্যা 
হিমাংশু সিংহ

কাকতালীয় ঘটনা হলেও সত্যি! বাংলার পাঁচ শ্রমিককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করার দিনেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে অবরুদ্ধ কাশ্মীর সফর করেছেন একঝাঁক বিদেশি প্রতিনিধি।
বিশদ

03rd  November, 2019
বন্ধ হোক মৃত্যুকে রাজনীতির পণ্য বানানো
তন্ময় মল্লিক

জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত। শৈশবের গণ্ডি ছাড়াতে না ছাড়াতেই অমর কবির এই কবিতা প্রথম শিখিয়েছিল, জন্ম আর মৃত্যু এক সুতোয় বাঁধা। ভাবসম্প্রসারণ লিখতে গিয়ে শিখেছিলাম, জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতিই হল মৃত্যু। আধ্যাত্মিক মনোভাবাপন্ন মানুষের মতে, আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন।   বিশদ

02nd  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রাজ্য সরকারের বাংলা ভাষায় জয়েন্ট পরীক্ষার দাবি অনর্থক। কেন্দ্র অনেক আগেই সব রাজ্যকে জানিয়েছিল। বাংলার সরকার সেই সময় হ্যাঁ বা না কিছুই বলেনি। এখন নাটকবাজি শুরু করেছে। বাংলার মানুষকে বোঝাচ্ছে আমরা কত বাংলা দরদি।   ...

সংবাদদাতা, বর্ধমান: সর্বভারতীয় স্কুল পর্যায়ের যোগাসন প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব-১৭ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জেলার মুখ উজ্জ্বল করল সর্বশ্রী মণ্ডল। রিদমিক যোগায় প্রথম হয়ে সে সোনার মুকুট পায়। এমাসের ৪ নভেম্বর সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। ...

 নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর (পিটিআই): কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল দিল্লি আদালত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বোল্লাকালীর অন্যতম ভোগ চিনির বাতাসা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মিষ্টি বিক্রেতারা। শুক্রবারই মায়ের পুজো। তাই নাওয়াখাওয়া ভুলে কয়েক কুইন্টাল চিনি জাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে কদমা, বাতাসা। দূরদূরান্ত থেকেন বোল্লাকালীর পুজো দিতে আসেন ভক্তেরা।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৭০ টাকা ৭২.৮৫ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯৩.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৩ টাকা ৮০.৪৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
12th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৩০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ কার্তিক ১৪২৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, প্রতিপদ ৩৪/৩৬ রাত্রি ৭/৪২। কৃত্তিকা ৪০/২৩ রাত্রি ১০/১। সূ উ ৫/৫১/২৯, অ ৪/৫০/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৮/৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/১৫ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৫ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ১২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/১৪ মধ্যে।
 ২৬ কার্তিক ১৪২৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, প্রতিপদ ৩৪/২৪/৩৯ রাত্রি ৭/৩৮/৩৩। কৃত্তিকা ৪২/২৪/১১ রাত্রি ১০/৫০/২১, সূ উ ৫/৫২/৪১, অ ৪/৫০/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৭/৩০ গতে ৮/১২ মধ্যে ও ১০/২১ গতে ১২/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে ও ৮/১৯ গতে ৩/২৪ মধ্যে, বারবেলা ১১/২১/৪৪ গতে ১২/৪৪/০ মধ্যে, কালবেলা ৮/৩৭/১৩ গতে ৯/৫৯/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ২/৩৭/১২ গতে ৪/১৪/৫৬ মধ্যে।
১৫ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিবাহের যোগাযোগ হবে। বৃষ: কোনও বকেয়া অর্থ পাবার যোগ আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৮০- শিখ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজ রঞ্জিত সিংয়ের জন্ম১৮৫০- স্কটিশ সাহিত্যিক ...বিশদ

07:03:20 PM

বায়ুদূষণের জেরে আগামী ২ দিন দিল্লিতে স্কুল বন্ধ 

07:49:58 PM

খড়্গপুরে নাকা চেকিংয়ের সময় এক ব্যবসায়ীর থেকে উদ্ধার হল ১৮ লক্ষ টাকা 

04:01:42 PM

যুব মোর্চার পুরসভা অভিযান ঘিরে উত্তেজনা 
যুব মোর্চার কলকাতা পুরসভা অভিযান ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। চাঁদনি চকে ...বিশদ

03:26:39 PM

প্রধান বিচারপতির দপ্তরও আরটিআই-এর আওতায়, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের 
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অফিস তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনের ...বিশদ

03:21:00 PM