কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
যে তিন জেলায় ক্ষয়ক্ষতি সব থেকে বেশি, সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৮-১১ নভেম্বর সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে (১৫৩.৯ মিমি)। সেখানে পুরুলিয়ায় এই সময়ে বৃষ্টি হয়েছে ১৬৩.৩ মিমি। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আরও দুই জেলা দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায় এই সময়ে যথাক্রমে ১২৩.৫ মিমি এবং ৯৬.৭ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ওই দুই জেলার তুলনায় বাঁকুড়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ (১৩৭.৬ মিমি) বেশি হয়েছে। বীরভূমে (১১১.৯ মিমি), মুর্শিদাবাদে (১১০ মিমি) পশ্চিম মেদিনীপুরে (১০৯.৭ মিমি), দুই বর্ধমানে (৯৫.৪ মিমি), মালদহে (৯১.১ মিমি), হুগলিতে (৭২.৪ মিমি) বৃষ্টি হয়েছে। কৃষি দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই চারদিনে শুধু তিনটি জেলায় ১০ মিমি’র কম বৃষ্টি হয়েছে। ওই তিনটি জেলাই হল উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং জেলায় কোনও বৃষ্টি হয়নি। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় যথাক্রমে ১.২ মিমি এবং ৭.১ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের অন্য জেলা জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১১.৪ মিমি।
স্বাভাবিকের তুলনায় কতটা কম বা বেশি বৃষ্টি হয়েছে, সেই হিসেব কৃষি দপ্তর দিয়ে থাকে। সেই নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ওই চারদিন স্বাভাবিকের তুলনায় যথাক্রমে ৯৯৯, ৬৬৭ এবং ৫৮৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অন্য কয়েকটি জেলার হিসেবে দেখা যাচ্ছে, পুরুলিয়ায় ২,৫৩৪ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২,১৮৪ শতাংশ, মালদহে ১,৮৩৮ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ১,৫৯২ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ১,৪৬৪ শতাংশ, বীরভূমে ১,৩৩৫ শতাংশ, দুই বর্ধমানে ১,৩৬৮ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১,১৭৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কৃষি দপ্তরের মুখ্য আবহাওয়াবিদ মৃণাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, যেহেতু স্বাভাবিক বৃষ্টির নিরিখে শতাংশের হিসেব করা হয়, তাই কয়েকটি জেলায় তুলনামূলকভাবে কম বৃষ্টি হলেও শতাংশের হিসেবে তা বেশি হয়েছে। যেমন মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এই সময় স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ ৪.৭ এবং ৩.২ মিমি। সেখানে ওই দুই জেলায় বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ৯১.১ এবং ৭৩.১ মিমি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি জেলার থেকে পরিমাণে অনেক কম বৃষ্টি হলেও শতাংশের হিসেবে ওই দুই জেলা অনেক এগিয়ে।
কৃষি দপ্তরের আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে এই সময়ে রাজ্যের প্রায় সব জেলায় কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মেঘ ওই জেলাগুলিতে ঢুকে পড়েছিল। অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য বাকি জেলাগুলিতেও চাষবাসের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা বিস্তারিত রিপোর্ট এলে জানা যাবে। তবে অতিরিক্তি বৃষ্টি এই সময় কোনও ফসলের পক্ষেই ভালো নয়।