কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের জলপাইগুড়ি জেলার ডেপুটি ডিরেক্টর উত্তমকুমার দে বলেন, বুধবার আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য স্তরের মেলাটি জলপাইগুড়ির পরিবর্তে পূর্ব বর্ধমান জেলায় হবে।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সীমা সরকার বলেন, রাজ্য স্তরের মেলা উপলক্ষে আমরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু তা বাতিল হওয়ায় আমরা হতাশ হলাম। এই জেলাতে রাজ্য স্তরের মেলা হলে এখানকার মানুষ আরও বেশি করে উপকৃত হতো। আগামী বছর যাতে এই জেলাতেই রাজ্য প্রাণিসম্পদ মেলা হয় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নবান্নে সেজন্য আবেদন জানাব।
জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলির কৃষিমাণ্ডিতে রাজ্য প্রাণিসম্পদ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ১৬ নভেম্বর মেলার শুরু ধরে নিয়ে জোর প্রস্তুতিও চলছিল। জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় মেলাটি হতো। মেলা পরিচালনার জন্য জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্বয়ং মেলার জন্য জায়গা বাছাই করেছিলেন। মেলার প্রস্তুতি উপলক্ষে চারটি বৈঠক করা হয়েছিল। জেলাশাসকের পৌরোহিত্যে মেলার প্রস্তুতি নিয়ে ওই বৈঠকগুলি হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে গেল।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলায় বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কৃষি, মৎস্য সহ বিভিন্ন দপ্তরকেই মেলায় স্টল দিতে বলা হয়। স্যুভিনিয়র ছাপানো ছাড়া মেলা উপলক্ষে বাকি কাজ শেষ করা হয়েছিল। জেলায় বিভিন্ন ছাপাখানাকে এর জন্য আমন্ত্রণপত্র, ফ্লেক্সে ছাপাতে বরাত দেওয়া হয়। কিন্তু মেলা বাতিল হওয়ায় ওসব বরাত বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের পরে আবার এবছর প্রাণিসম্পদ মেলা উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়িতে হওয়ার কথা ছিল। রাজ্য স্তরের এই মেলা দক্ষিণবঙ্গেই বেশি হয়। উত্তরবঙ্গে দীর্ঘদিন বাদে হওয়ার ব্যাপারে রাজ্য থেকে নির্দেশ আসায় জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। মেলা হলে গ্রামীণ এলাকার মানুষদের মধ্যে পশুপালন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেত। রাজ্য স্তরের মেলা এখানে না হলেও জেলা স্তরের মেলা এখানে শীঘ্রই হবে।