কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনার সময় তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, খালি হাতে ভোটযুদ্ধের ময়দানে লড়াই করা সম্ভব নয়। তৃণমূল এবং বিজেপি যেভাবে নির্বাচনী প্রচারে টাকা খরচ করেছে, সিপিএমের পক্ষে তা করা সম্ভব হয়নি। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে ভোটের ফলাফলে।
প্রসঙ্গত, সিপিএমের নেতারা প্রকাশ্যেই বারবার বলেন, তাঁদের আয়ের বিশেষ কোনও উৎস নেই। পার্টি মেম্বারদের প্রদেয় লেভি এবং রাস্তায় কৌটো নাচিয়ে চাঁদা তুলে প্রাপ্ত অর্থই তাঁদের আয়ের অন্যতম বড় উৎস। অন্য কোনও অনুদানের কথা সেভাবে সিপিএম কখনও স্বীকার করে না। দলের অথর্ভাবের সমস্যা প্রকট হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পার্টি মেম্বারদের সংখ্যাও ক্রমশ কমছে সিপিএমে? যে কারণে লেভির পরিমাণ কমে যাচ্ছে? কৌটো নাচিয়ে চাঁদা দেওয়া থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ? দলের অন্দরের খবর, লোকসভার নির্বাচনী ফলাফলকে কেন্দ্র করে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা অব্যাহত ছিল আজও। এবং গতকালের মতোই কেরল এবং ত্রিপুরা কমিটির আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সিপিএমের বেঙ্গল কমরেডরাই।
সূত্রের খবর, আজ বৈঠকের শুরুতেই সিপিএমের কট্টরপন্থী কেরল লবির নেতারা বঙ্গ সিপিএমকে সাফ জানায়, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে যা দলীয় অবস্থান নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, তা আদতে বিভ্রান্ত করেছে কেরলের নেতা-কর্মীদের। একটি রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম জোট বাঁধলে কেন্দ্রীয়স্তরে বামেদের অবস্থান কী হবে, সেই প্রশ্নেই বিভ্রান্ত হয়েছেন নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা। যার ‘সুফল’ ভোগ করেছে কংগ্রেস। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াদিল্লির এ কে গোপালন ভবনের অন্দরের খবর, এই ইস্যুতে অবশ্য বেঙ্গল সিপিএমের পাশেই দাঁড়িয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বৈঠকে তিনি বলেছেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট জল্পনা কেরলে পড়তে পারে না। সবরীমালা ইস্যু কেরলে সিপিএমের মাত্র একটি আসন পাওয়ার সবথেকে বড় কারণ। এরই পাশাপাশি কেরলের সিপিএম সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা নিচ্ছে, সাধারণ মানুষ সেগুলির সঙ্গেও একাত্ম হতে পারছে না। যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনী ফলাফলে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল, রবিবার শেষ হবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গকে সমালোচনা করে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কি না, সেটাই দেখতে চাইছে বাম রাজনৈতিক মহল।