কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
কাউন্সিলরদের দলে যোগদান করিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় বলেন, ‘দার্জিলিং পুরসভায় মোট আসন রয়েছে ৩২টি। তার মধ্যে একটি আসনের কাউন্সিলর মারা গিয়েছেন। একজন পদত্যাগ করেছেন। ফলে এই মুহূর্তে ৩০টি আসনের মধ্যে ১৭টিতেই বিজেপির কাউন্সিলর রয়েছে। অর্থাৎ দার্জিলিং পুরসভার পুরবোর্ড এখন বিজেপির দখলে। বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউন্সিলরা আজই তাঁদের ইস্তফাপত্র জেলার জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’ উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লিতে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর এবং নৈহাটির মোট ৬৩ জন কাউন্সিলরকে দলে টেনে সবকটি পুরবোর্ড দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। কলকাতায় তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন ভাটপাড়ার তৃণমূলী কাউন্সিলররা। এদিন দার্জিলিং পুরবোর্ড দখল করে নেওয়ার পর বিজেপির হাতে চলে এল রাজ্যের মোট পাঁচটি পুরসভা। যাকে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য রাজু সিং বিস্ত বলেন, ‘পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন প্রতি রাতে কারও না কারও বাড়িতে হানা দিয়ে কাউকে উঠিয়ে নিয়ে আসছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বেশিদিন চলতে পারে না। অত্যাচার মাত্রাছাড়া হয়ে গিয়েছে বলেই আমরা এই কাউন্সিলরদের দার্জিলিং থেকে দিল্লিতে নিয়ে এসে বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছি।’ এদিন জিটিএ তুলে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের এমপি। করেছেন অডিটের দাবি। রাজ্যে চলতে থাকা ‘তৃণমূলী সন্ত্রাসে’র অভিযোগ করে এদিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও সাংবিধানিক পদকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না। যা খুশি তাই বলছেন। বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা যায়? আজও দিনাজপুরে বিজেপির বিজয় মিছিলের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারা।’ এই পরিপ্রেক্ষিতেই মমতার সিঙ্গুর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিত টেনে তৃণমূলনেত্রীর একসময়ের সেনাপতি মুকুল রায় বলেছেন, ‘সিঙ্গুর আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে ভুল ছিল। আমি এককালে ওই আন্দোলনের সঙ্গী ছিলাম বলেই এ কথা বলছি। ওখানে না হল চাষবাস, না হল শিল্প। বেকার যুবকেরা এখন দেওয়ালে মাথা কুটছেন। বরং সিঙ্গুরে শিল্প হলে তাকে দেখে আরও পাঁচটা শিল্পগোষ্ঠী রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হত।’