নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বুধবার সন্ধ্যায় বারাসতের কাজিপাড়া এলাকায় একটি নার্সিংহোমের স্টাফ কোয়ার্টার্সের ছাদে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতার পরিবারের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। এই ঘটনার জেরে সন্ধ্যার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নার্সিংহোমের সামনে। চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। পরে বারাসত থানার পুলিস গিয়ে মতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার বাসুদেবপুর এলাকার ১১ বছরের ওই কিশোরী বারাসতের কাজিপাড়া সংলগ্ন নার্সিংহোমে কাজ করত। সঠিকভাবে তাঁকে বেতন দেওয়া হতো না বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিল সে। তখন ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, কিছুদিনের মধ্যেই কাজ ছেড়ে দিতে। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি আসেন কাজিপাড়ার ওই নার্সিংহোমটিতে। নার্সিংহোমের সামনে চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। মৃতার মা বলেন, আমাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করেছে নার্সিংহোমের মালিক ডাঃ রেজ্জাক মোল্লা। মেয়ের সঙ্গে মাঝেমধ্যে অভব্য আচরণ করা হতো বলে আমাদের জানিয়েছিল সে। শুধু আমাদের মেয়ের সঙ্গেই নয়, অনেকের সঙ্গেই একই ঘটনা ঘটেছে। মেয়েকে খুন করা হয়েছে। আমাদের মেয়ে কখনই আত্মহত্যা করতে পারে না। এর সঠিক তদন্ত চাই।
এদিকে, ঘটনার খবর জানার পরেই এলাকায় পৌঁছয় বারাসত থানার পুলিস। যেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গা ভালো করে খতিয়ে দেখে পুলিস। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এর উপযুক্ত তদন্ত করতে নার্সিংহোমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক। তাহলেই রহস্যের উদ্ঘাটন হবে। অন্যদিকে, নার্সিংহোমের মালিক ডাঃ রেজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘মেয়েটির পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমি ওর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। নার্সিংহোমের কোনও কাজ ওই কিশোরী করত না। খুনের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। কিশোরী কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। তা থেকেই হয়তো আত্মহত্যা করেছে। পুলিস তদন্ত করলেই আসল সত্য বের হবে।’ বারাসত থানার পুলিস জানিয়েছে, কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।