গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর ২ নম্বর অঞ্চলের কালেরআইটের ঝিঁঝেরআইট এলাকায়। আইএসএফের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আরও একটি মামলা রুজু করেছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাদ হালদার এদিন ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর ২ অঞ্চলের মাধবপুর এলাকায় গাড়ি করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন দলের জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক গাজি শাহাবুদ্দিন সিরাজি সহ অন্যান্যরা। ঝিঁঝেরআইট এলাকায় ঢুকতেই আইএসএফ প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এমনকী, প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গীদের জোর করে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মেঘনাদবাবু সামান্য আহত হন। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাঁদের উপরও চড়া হয় বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় আইএসএফ ও তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন।
আইএসএফ প্রার্থী বলেন, আমরা যখন ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যাই, তখন তৃণমূল কর্মীরা অতর্কিতে আমাদের উপর হামলা চালায়। গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার সঙ্গী শাহাবুদ্দিন সিরাজির জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা বলেন, ওঁরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এদিন যখন ওঁরা ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান, তখন গ্রামের মহিলারা ওঁদের জিজ্ঞাসা করেন, এতদিন আপনারা কোথায় ছিলেন? আপনারা প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওঁদের ঝামেলা হয়। পুলিস সামাল দিতে গেলে তাঁদেরও অনেকে জখম হন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
মঙ্গল ও বুধবার ভাঙড়ের ভোগালি ও বেঁওতা ১ ও ২ অঞ্চলে দু’টি পৃথক ঘটনায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।