গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
অশোকনগর থানার ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে রয়েছে একটি বহু পুরনো ক্লাব। সেটি ইংরেজ আমলে তৈরি একটি বিমান ঘাঁটির পাশে রয়েছে। জায়গাটি খোলামেলা। ফলে অনেকেই সন্ধ্যার সময় হাঁটতে আসেন এখানে। অনেকে অবসর সময় কাটান। যুবক-যুবতীরা আসেন নিভৃতে সময় কাটাতে। সবমিলিয়ে অশোকনগর, হাবড়া সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলির বহু মানুষ এই জায়গায় আসেন নিরিবিলিতে বসতে। ক্লাব সদস্যদের দাবি, জায়গাটি অন্ধকার বলে মদ্যপান ও অশ্লীল কার্যকলাপ হয়। পুলিস এলে মদ্যপান ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। পুলিস চলে গেলে ফের চলে আসে। ফাঁকা জায়গায় বাইক ও চারচাকা পার্ক করে চলে অসাধু কারবার। এর ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। থানা ও পুরসভায় মৌখিকভাবে জানালেও, তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এলাকার নিরাপত্তা বজায় রাখতে অঘোষিত ১৪৪ ধারার মতো নিয়ম জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার পর অনেকে বলছেন, সন্ধ্যার পর ওখানে সামান্য জিরিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করতেন। এমন নির্দেশের পর আর ওই জায়গায় দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।
ক্লাবটির সভাপতি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার পরিবেশ কলুষিত হয়ে উঠেছে। আমরা বিষয়টি থানা ও পুরসভাকে জানিয়েছি। পুলিসি টহল চলে ঠিকই। কিন্তু এখন নির্বাচন নিয়ে পুলিস ব্যস্ত। তাই খুব একটা সময় দিতে পারে না। বাধ্য হয়ে ক্লাব ও এলাকার মানুষ যৌথভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ অশোকনগর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ক্লাবকে ডেকে বিস্তারিত আলোচনা হবে।’