গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ ডোমজুর থানার বাঁকড়া ৩ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। তিন দুষ্কৃতী পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় জখম হন দু’জন। তখনই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে শেখ সাজিদের বিরুদ্ধে। বিধায়কের প্রতিনিধি হিসেবে ওই পঞ্চায়েত কার্যত ‘নিয়ন্ত্রণ’ করত সাজিদ। হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, ভিন রাজ্যের ভাড়াটে দুষ্কৃতীদের এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাজিদের খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায়, সে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান টুকটুকি শেখ। তাঁর অভিযোগ, হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ সাজিদই। পুলিস জানতে পারে, ঘটনার আগেই দক্ষিণ ভারতের ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সাজিদ। সেখানে বসেই হামলার ছক কষেছিল সে। গোটা অপরেশন নিয়ন্ত্রণ করেছে সেখানে বসেই। তার মূল টার্গেট ছিল পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখ এবং আরও কয়েকজন। তদন্তে বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ উঠে আসায় বেঙ্গালুরুতে হানা দেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাজিদকে। শুধু তাই নয়, তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় তিন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেন গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে একজন উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা যশোবন্ত সিং। বর্তমানে সে বিহারে জেলবন্দি। বাঁকড়ার ঘটনার পর পালাতে গিয়ে বিহারে ধরা পড়ে সে। তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়। যশবন্তকে হাওড়ায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। অন্যদের মধ্যে একজন সঞ্জয় সিং। সে হাওড়ার আশু বোস লেনের বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৃতীয়জনকেও ধরা হয়েছে যোগীরাজ্য থেকে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম জানানো হয়নি। এই দু’জনকে হাওড়ায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। এদিকে, মাস্টারমাইন্ড সাজিদকে বুধবার বিমানে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। তারপর তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। আপাতত এই ঘটনায় একটি দেশি ওয়ান শটার বন্দুক, সেভেন এমএমের তিন রাউন্ড কার্তুজ, চার রাউন্ড খালি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে।