গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কিন্তু, সেসব এখন অতীত। কচুবন এবং আগাছার জঙ্গলে ঘাট গায়েব হয়েছে। আবর্জনা জমতে জমতে জলও উধাও।
১২ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোডের পুকুরটির কথাই ধরা যাক। কয়েক বিঘের পুকুর এখন কয়েক কাঠায় এসে ঠেকেছে। এলাকায় ৪০ বছর ধরে বাস করছেন সুরেশ শর্মা। তিনি বলেন, আম্বেডকর ক্লাবের পিছনে এই পুকুরে এক সময় বাড়ির সব কাজ হতো। একটা সুন্দর ঘাটও ছিল। আমরা মাছও ধরতাম। অপর স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ রায়ের কথায়, চোখের সামনে ঘাটগুলি বুঝে গেল। সবাই নোংরা ফেলে। এলাকায় একটা ভ্যাট তৈরি করা যেত। সেটা না থাকায় বাসিন্দারা পরিত্যক্ত এই পুকুরেই আবর্জনা ফেলছেন। স্থানীয় যুবক ষষ্ঠী হাজরা। তিনি বলেন, ছোটবেলায় অনেক দাপাদাপি করেছি এই পুকুরে। টলটলে জল ছিল। স্নান করতাম। কিন্তু এখন দেখলে কষ্ট হয়।
অন্যদিকে, ১৯ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোডের পুকুরটিও আগাছা আর কচু গাছে ভরে আছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাপি সর্দার আক্ষেপের সুরে বলেন, এভাবেই ধীরে ধীরে পুকুর বুজে যাবে, আর সেখানে অট্টালিকা তৈরি হবে। ২০১২-১৩ সালেও এখানে মাছ চাষ হয়েছে। তখন লিজের টাকা নিতে মাঝে মাঝে মালিকও আসতেন। এখন তা দেখা যায় না। বেঁচে আছেন কি না, তাও আমরা জানি না।
স্থানীয় ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা বলেন, সচেতনতার অভাব রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বারবার বলেও আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা যায়নি। কয়েকবার পরিষ্কারও করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফের যে কে সেই। জলাশয় বাঁচানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারও। তিনি বলেন, অভিযোগ এসেছে। বিভাগীয় আধিকারিকরা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। ইতিমধ্যেই পুকুরের মালিককে নোটিস ধরিয়েছি। জলাশয় ভরাট করতে দেওয়া হবে না। - নিজস্ব চিত্র