গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার মোট ৩৪টি ওয়ার্ডকে দু’দিকে ভাগ করেছে বি টি রোড। শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের যাদবচন্দ্র ঘোষ লেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যায়তন সরণি, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লিক কলোনি ও গিরিশচন্দ্র ঘোষ স্ট্রিট, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নিয়োগীপাড়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালাকারপাড়া, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফরোয়ার্ড কলোনি ছাড়াও ১, ১৫, ১৮, ১৯, ২১ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই নর্দমার নোংরা জল রাস্তায় উঠে আসে। কোথাও আবার রাস্তায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। বহু জায়গায় পুরসভা পাম্প বসিয়ে জল সরানোর চেষ্টা করলেও মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সোমবার রাতে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেনি কলোনি এলাকায় প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। দলবল নিয়ে তিনি হাঁটু সমান জলে দাঁড়িয়ে প্রচার সারেন। যদিও পুরসভার দাবি, গত দশ বছরে বরানগর পুরসভা জমা জলের সমস্যা মেটাতে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। তারমধ্যে সৌগত রায়ের উদ্যোগে ৫২ কোটি ব্যয়ে মজে যাওয়া বাগজোলা খাল সংস্কার করা হয়েছে। বি টি রোডের পশ্চিমপাড়ের জমা জল সরাতে ২০২২ সালে রাজ্যের সেচদপ্তরের উদ্যোগে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন খাল খনন করা হয়েছে। ওই খাল ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বীরেশ্বরনগর এলাকা থেকে রাজীবনগর পর্যন্ত গিয়েছে। এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার জল উদয়পুর খালে গিয়ে পড়ছে। এছাড়াও কয়েক কোটি ব্যয়ে কেএমডিএ সিঁথির মোড় থেকে ডানলপ মোড় হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত পুরনো সুয়ারেজ ব্যবস্থায় আমূল বদল এনেছে। ওই কাজ শেষ পর্যায়ে। ফলে আগের মতো সামান্য বৃষ্টি হলে বরানগর আর জলের তলায় থাকে না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যায়। এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ বলেন, অনুপ্রেরণার উন্নয়ন উঠোনে পৌঁছে গিয়েছে। বরানগরবাসী বুঝতে পেরেছেন, উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা কোথায় ঢুকে গিয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপনারায়ণ বসু বলেন, বরানগরে জমা জল বের করতে নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একশো কোটিরও বেশি টাকার কাজ হয়েছে। এখন বৃষ্টির জল নেমে যায়। কোথাও জল জমে থাকে না। বিজেপির পায়ের তলার মাটি নেই। প্রচারে থাকতে তারা নাটকের অবতারণা করছে।