গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে সন্দেশখালি থেকে ১১ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ প্রচারের উদ্দেশ্যে উলুবেড়িয়ায় আসেন। যদুরবেড়িয়ার একটি বিয়েবাড়িতে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির এই বাসিন্দাদের উপস্থিতি এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে পারে– এই আশঙ্কা থেকে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা পুলিসকে বিষয়টি জানান। এরপরে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস সোমবার রাতেই ওই ১৩ জনকে থানায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে পুলিস তাদের ছেড়ে দেয় এবং লঞ্চে করে নদীর ওপারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে সন্দেশখালির ওই বাসিন্দাদের পুলিস রাতে কেন থানায় নিয়ে এসেছিল, এই অভিযোগে বিজেপি নেতা-কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন থানায় আসেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই, বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, বিজেপি নেতা অনুপম মল্লিক প্রমুখ।
এদিন ফাল্গুনী পাত্র অভিযোগ করেন, সন্দেশখালির ঘটনাকে লঘু করে দেখানো হচ্ছে। সন্দেশখালির মহিলাদের উপর যে অবিচার হয়েছে, সেটা শাসকদল কোনওভাবেই মেনে নিচ্ছে না। তাই সন্দেশখালির ওই বাসিন্দারা তাঁদের পরিচয়পত্র নিয়ে আমাদের প্রচারে এসেছিলেন। রাত ২টোর সময় তাঁদের থাকায় জায়গা যদুরবেড়িয়ায় যায় পুলিস। ওই বাসিন্দারা জানান, সকাল ৮টায় চলে যাবেন। তবুও পুলিস তাদের থানায় নিয়ে আসে। আমরা এখানে এসে জানতে পারি, ওঁদের ফেরি পার করে দেওয়া হয়েছে। সন্দেশখালির ওই ১৩ জন বাসিন্দাকে ফের থানায় নিয়ে আসার দাবি জানান বিজেপি নেতা, নেত্রীরা।
অন্যদিকে, উলুবেড়িয়ায় সন্দেশখালির বাসিন্দাদের প্রচারে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা যে মিথ্যা এবং সাজানো, সেটা মানুষের সামনে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আবার সেই ঘটনাকে নিয়ে অশান্তি পাকানোর লক্ষ্যে ওইসব বাসিন্দারা উলুবেড়িয়ায় এসেছিলেন। যদিও এলাকার মানুষ সজাগ থাকায় সেই অশান্তি এড়ানো গিয়েছে। বিজেপির বোঝা উচিত, বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উপরেই ভরসা করে।