বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
‘কমলা’ সতর্কতা থাকলে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির জন্য রাখা হয়েছে ‘হলুদ’ সতর্কবার্তা। আপাতত বৃহস্পতিবারের জন্য দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ‘হলুদ’ সতর্কবার্তা থাকছে। ১৭ এপ্রিল থেকে রবিবার পর্যন্ত, টানা ১৫ দিনের বেশিকাল ধরে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ছিল। তার আগেও বেশ কিছুদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ একটা বৃষ্টি হয়নি। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থাকার সময় দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে অল্পবিস্তর বৃষ্টি হয়। তাতে অবশ্য গরম থেকে তেমন স্বস্তি মেলেনি।
উত্তর-পশ্চিমী শুষ্ক ও উষ্ণ বাতাস দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সক্রিয় থাকার জন্য টানা তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলেছিল দক্ষিণবঙ্গে। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দুই দিনাজপুর জেলায়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সচরাচর এতটা সময় ধরে টানা তাপপ্রবাহ রাজ্যে হয় না। বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় তৈরি না-হওয়ার জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উচ্চচাপ বলয় তৈরি হলে বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করে। তখন বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েকদিন আগে থেকে আবহাওয়া দপ্তর তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, রবিবার থেকে আবহাওয়ামণ্ডলের পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করবে। বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প প্রবেশের কারণেই এই পরিবর্তন। এদিন সেটাই হয়েছে।
রবিবার থেকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বাড়লেও ওইদিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়নি। দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে সোমবার ঝড়বৃষ্টির পরিস্থিতি আরও অনুকূল হয়। ঘূর্ণাবর্ত থেকেই একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।