বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এদিন মধ্য হাওড়া এবং শিবপুর কেন্দ্রে প্রচার কর্মসূচি ছিল তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কখনও হেঁটে, কখনও আবার হুডখোলা গাড়িতে চেপে প্রচার করেন তিনি। ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার সংস্কৃতির উপর লাগাতার আক্রমণ করছে বিজেপি। বিভিন্ন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলছে বিরোধীরা। তারা বলছে, বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। অথচ বাংলার দুর্গাপুজো বিশ্বের স্বীকৃতি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, বিজেপিকে খবরদার বিশ্বাস করবেন না। ওরা ক্ষমতায় এলে দেশ টুকরো টুকরো হবে। মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়েই দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে তারা।
এদিন হাওড়ার দাশনগর ও সংলগ্ন এলাকায় প্রচার কর্মসূচি ছিল সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের। প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে এক সুরে আক্রমণ শানান তিনি। তিনি বলেন, দশ বছর ধরে দিল্লিতে একটি সরকার চলছে, যারা সংবিধানই মানে না। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, যে নীতির উপর ভর করে তৈরি হয়েছিল, তা আজ ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে চারাগাছ লাগান তিনি। বিশেষত দাশনগর এলাকায় চারাগাছ লাগিয়ে তিনি এই উদ্যোগের সূচনা হয়। কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো’য়ের কারণে এই এলাকায় কয়েকটি গাছের ডালপালা কাটা হয়েছিল। সেখানেই একটি নতুন গাছ লাগান সব্যসাচী। তৃণমূলের নাম না করে তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ প্রচারের জন্য এখানে গাছ কাটা হয়েছিল। প্রশাসন চালাতে গিয়ে যাঁরা এসব মাথায় রাখেন না, তাঁদের প্রশাসন চালানোর কোনও যোগ্যতা নেই।
তাঁর উদ্যোগকে কটাক্ষ করে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে আমরা বছরভর বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগাই। উনি একদিন নয়, এভাবে সারা বছর ধরে বৃক্ষরোপণ করলে, আমরা উৎসাহিত করব।