বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের পাল্লা রোডে বাড়ি রাজের। বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। গরিব পরিবারের গৃহবধূর যাবতীয় আনন্দ, উচ্ছ্বাস ছিল বছর দশেকের এই প্রাণচঞ্চল ছেলেকে ঘিরেই। গত সপ্তাহে স্ত্রী বর্ষাকে নিয়ে বোনের বাড়িতে গিয়েছিলেন দাদা অপু। ফেরার সময় ভাগ্নেকে নিয়ে পাণ্ডুয়ার তিন্নায় নেতাজি পল্লির বাড়িতে ফেরেন তাঁরা। স্কুলে ছুটি চলছে, তাই রাজও লাফাতে লাফাতে এসেছিল মামার বাড়িতে। প্রতিবেশীদের গুটিকয় সমবয়সি ছেলে জুটে যাওয়ায় খেলায় মশগুল হয়েছিল রাজ। সোমবার সকালে খেলতেই বেরিয়েছিল সে। তখনও মামার বাড়ি লোকজন বুঝতে পারেননি ছটফটে ছেলেটি আর ফিরবে না। ছেলেকে ছেড়ে কেমন করে থাকবেন, সে ভাবনা একবার ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু মামার বাড়ি যাওয়ার নাম শুনে ছেলের মুখে যে আনন্দের ছাপ তিনি দেখেছিলেন, তারপর আর না করতে পারেননি। সকালে দুর্ঘটনার পর ভয়ে তাঁকে কেউ সত্যিটা বলতে পারেনি। বলা হয়েছিল, রাজ অসুস্থ। পড়িমড়ি করে পাণ্ডুয়ায় এসে ছেলেকে খুঁজতে শুরু করেন অপর্ণাদেবী। তারপর প্রকৃত ঘটনা শোনামাত্রই সংজ্ঞা হারান তিনি। সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর তিনি। যখনই সম্বিত ফিরেছে, তখনই বলে চলেছেন, কেন ওকে ছেড়ে দিলাম? কেন? অপর্ণাদেবীর পরিবার থেকে শুরু করে তাঁর দাদা, বউদি, প্রতিবেশী কারও কাছেই এই প্রশ্নের জবাব ছিল না। থাকার কথাও নয়। তবে ছোট্ট রাজের নির্মম পরিণতিতে শোকের ছায়া নেতাজি পল্লির সর্বত্র। পাড়ারই গৃহবধূ দীপা চৌধুরী সজল চোখে বলেন, ছটফটে বাচ্চাটার দেহ ফালাফালা হয়ে গিয়েছিল। স্কুল ছুটি চলায় ওর মামা ওকে এখানে এনেছিল। মা, মামাকে সমবেদনা জানানোর ভাষা পাচ্ছি না। শুধুই কান্না পাচ্ছে। নিজস্ব চিত্র