বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
চব্বিশের মহারণে তারকা কেন্দ্রগুলির তালিকার অন্যতম হুগলি লোকসভা আসন। টানা কয়েকদিন ধরে ‘তারকা প্রার্থীদের’ লড়াইয়ে হুগলি থাকছে খবরের শিরোনামে। বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ভোটযুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে লকেট জিতেছিলেন ৭৩ হাজার ৩৬২ ভোটে। ওই ব্যবধান বাড়ানো তো দূরের কথা, এবার লকেট জিততেই পারবেন না বলে ভবিষ্যৎবাণী করলেন ‘তৃণমূলের সেনাপতি’। সোমবার পাণ্ডুয়াতে দলীয় প্রার্থী রচনার সমর্থনে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ৪০ মিনিটের বক্তব্যের একটি বড় অংশজুড়েই ছিল বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনা। ২০১৯ সালের হুগলির মানুষের ভোটে নির্বাচিত হলেও পাঁচ বছর ধরে এলাকার উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি বলে অভিযোগের আঙুল তোলেন অভিষেক। তাঁর যুক্তি, ‘হুগলির একটি বুথেও একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে এসে সাধারণ মানুষকে ১০ পয়সার উন্নয়ন তুলে দিতে পারেননি লকেট। সাতটি বিধানসভায় সাত সপ্তাহ সময় দেননি তিনি। করোনা, ঘূর্ণিঝড় কোনও সময় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পাওয়া যায়নি।’ লকেট প্রসঙ্গে অভিষেকের অভিমত, ‘মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ হওয়া ‘সে গুড়ে বালি’। পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রাক্তন সাংসদের লেটারহেডের প্যাডটা তাই এখনই ছাপিয়ে রাখুন।’
সাংসদ হিসেবে লকেটের কাজের মূল্যায়ন নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন জনসভায় সাধারণ মানুষের উদ্দেশে ছুড়ে দেন অভিষেক। কিন্তু জনগণের প্রত্যুত্তরে লকেটের রিপোর্ট কার্ডে ‘পাস মার্ক’ ওঠেনি সভা প্রাঙ্গণ থেকে। যা পুঁজি করেই সাধারণ মানুষের কাছে অভিষেক আহ্বান রাখেন, এরপর ভোট চাইতে গেলে তাঁকে প্রশ্ন করুন, এক বিজেপি নেত্রী হুঙ্কার দিয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবেন। এক্ষেত্রে আপনার অবস্থান কী? আর সন্দেশখালির ঘটনায় বাংলাকে অপমানিত করেছেন। আপনাকে ভোট কেন দেব? তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আশাবাদী, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ ভোটের ফলাফলেও ‘প্রথম স্থান’ অধিকার করতে চলেছেন। হুগলিবাসীর কাছে তাঁর আহ্বান, ‘রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’লক্ষ ভোটে জেতান।’