বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বাড়ির গলির মুখে ঢুকতেই বৃষ্টি। অন্য দিন হলে দাঁড়িয়ে যেতেন অপূর্ব সমাদ্দার। এদিন দাঁড়ালেন না। মোবাইলটা রুমালে মুড়ে ভিজতে শুরু করলেন। লহমায় মেজাজ শরিফ। কবে থেকে যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে মনে করতে কালঘাম ছুটছিল শহরের। গরমের তীব্রতায় বৃষ্টি যে কী জিনিস, তা ভুলতেই বসছিল যেন সবাই। তবে সোমবার আকাশে কালো মেঘ দেখা দিতেই স্বস্তির প্রহর গুনতে শুরু করে শহরবাসী। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি ভিজিয়ে-ভাসিয়ে জুড়িয়ে দিল শহরের শরীর। সবমিলিয়ে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় দিনের তুলনায় নেমে গেল প্রায় ১৩ ডিগ্রি। হাওয়া অফিসের তথ্য, ১৭ দিন পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে এদিন। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার হিসেব বলছে, সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বালিগঞ্জে (৮৭ মিমি)। এর পাশাপাশি তপসিয়া, মানিকতলা, বেহালাতে ৫০ মিমিরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সবমিলিয়ে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত শহরে ২২৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ঠনঠনিয়া, ঢাকুরিয়া, লালবাজার, নাকতলা, গড়িয়া বাইপাসে বিক্ষিপ্তভাবে জল দাঁড়িয়ে যায়। এছাড়া ট্যাংরা, শোভাবাজার, কাশীপুর, মোমিনপুর, নারকেলডাঙা, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সহ শহরের কয়েকটি জায়গায় ১৫টির মতো গাছ ভেঙে পড়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাছ সরিয়েও দেন পুরকর্মীরা। বাইপাসে মাঠপুকুরের উপড়ে যায় পোস্ট। ভেঙে পড়ে ট্রান্সফর্মার।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় ০.৩ ডিগ্রি কম। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছয় থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। তবে সোমবার পূর্বাভাস মিলিয়ে ফিরল স্বস্তি। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা নেমে যায় ২২ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। কমবেশি ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। এদিন নরেন্দ্রপুর স্টেশনে ডাউন লাইনে বিদ্যুতের তারে ফুলকি দেখা যায়। তার জেরে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এছাড়া ৭টি বিমান দমদমে নামতে পারেনি বলেও জানা গিয়েছে।