গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসের কাছে খবর আসে যে, রাজপুর সোনারপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়ার আদর্শনগরে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবক ঘোরাফেরা করছে। সেই মতো পুলিস সেখানে গিয়ে প্রথমে বিজয়কে আটক করে। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র মেলেনি। পরে চাপ দিতেই সে হিরণ্ময়ের নাম বলে। এরপর পুলিস ওই দুষ্কৃতীকে নিয়ে কলেজ ছাত্রের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির শোকেস থেকে একটি ওয়ান শটার, দু’টি ৭ এমএম পিস্তল, ৩০ রাউন্ড গুলি এবং পাঁচ কেজি বারুদ এবং বোমা তৈরির সুতলি দড়ি উদ্ধার করেছে।
তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ২০১৯ সালে একটি খুনের ঘটনায় বিজয়ের নাম জড়িয়েছিল। সেই মামলায় পুলিস তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাছাড়া এলাকায় ‘রাউডি’ হিসেবে পরিচিত ছিল সে। মদ বিক্রি করে রোজগার করত বলে এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন। যদিও হিরণ্ময়ের বিরুদ্ধে কোনও পূর্ব মামলা পায়নি পুলিস। তবে তার ব্যাপারে খোঁজ করতে গিয়ে চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। ষষ্ঠ সেমেস্টারের পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে ওই ছাত্রের। তার আগের পরীক্ষায় ৭৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল সে। পড়াশুনায় মেধাবী হয়েও হিরণ্ময় কেন এমন কাজ করল, তার উত্তর এখনও খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা।
পুলিসকে যে বিষয়গুলি ভাবাচ্ছে, তা হল বিজয়ের সঙ্গে হিরণ্ময়ের আলাপ কী করে হল? কতদিন ধরেই বা দু’জনের পরিচয়? এত আগ্নেয়াস্ত্র এবং বারুদ নিয়ে কী পরিকল্পনা ছিল তাদের? জেলায় ভোটের আগে ধৃতরা কোনও বড় ধরনের ছক করছিল কি না, অথবা এই সব আগ্নেয়াস্ত্র কাউকে বিক্রি করার পরিকল্পনা তাদের ছিল কি না, সে ব্যাপারেও তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে, ধৃত দু’জনকে সোমবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। পুলিসের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের হেফাজতের দাবি করা হলেও বিচারক ১০ দিন মঞ্জুর করেছেন।
নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নানা তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে ভোটের আগে পুলিসের এই অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও বারুদ উদ্ধারের ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে বারুইপুর পুলিস জেলা।