বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজ বিশ্বাস (১০)। সে আসলে বর্ধমানের পাল্লা রোডের বাসিন্দা। পাণ্ডুয়ায় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। রাজের মা এদিন বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। ঘটনার অভিঘাতে মৃতের মামার বাড়ির সদস্যরাও কার্যত পাথর হয়ে গিয়েছেন। ওই ঘটনায় রূপমের সঙ্গেই জখম হয়েছে সৌরভ চৌধুরী। দু’জনেরই বয়স প্রায় ১২বছর। পুলিস জানিয়েছে, এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। তিন্না গ্রামের নেতাজি পল্লিতে বালিখাদানের জেরে একটি পুকুর তৈরি হয়েছে। সেই পুকুরপাড়েই এদিন সকালে সৌরভ ও রাজ খেলতে যায়। তারা যাওয়ার আগে রূপমকেও ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতিবেশীরা বিস্ফোরণের শব্দ পান। প্রতিবেশীরাই জখম তিন নাবালকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি দু’জনকে চুঁচুড়ায় রেফার করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় পাড়ায় উদ্বেগের আবহ তৈরি হয়েছে।
ঘটনাচক্রে এদিন তিন্না গ্রামের ওই ঘটনাস্থল থেকে ৮০০ মিটার দূরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। ফলে সকাল সকাল বোমা ফেটে মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির হুগলির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বোমা বিস্ফোরণে যুক্তদের গ্রেপ্তার এবং এনআইএ তদন্তের দাবিতে পথ অবরোধ করেন। লকেট বলেন, বাংলাকে বোমাশিল্পের আঁতুড়ঘর বানিয়ে ফেলেছে পিসি-ভাইপো। ঘটনার এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত। শুকদেব বল্লভ বলেন, আমাদের পাড়ায় কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। আমার বউ পাড়ারই এক যুবককে বিয়ে করেছে। কিন্তু তারপরেও সে ছেলের অধিকার চেয়ে সম্প্রতি ঝামেলা করেছিল। সে ও তাঁর বর্তমান স্বামী মিলেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা ব্লক সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই বিস্ফোরণ, তাও সভাস্থলের খুব কাছে। আমরা বিজেপির দিকে আঙুল তুলতেই পারতাম। কিন্তু তা করিনি। পুলিসের তদন্তে সত্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে কোনও শিশুর মৃত্যুই কষ্ট দেয়। সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকব।