বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে পানিহাটি পুরসভা এলাকায় প্রচারে নামেন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। শহরের ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে রোড-শো করেন তিনি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় মৃদঙ্গ, ঢাক ও করতালের ধ্বনিতে মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। উৎসাহী সৌগতবাবু বয়সকে তুড়ি মেরে গাড়ি থেকে নেমে আসেন। কর্মীদের সঙ্গে নাচে যোগ দেন তিনিও। ঢাক ও করতাল বাজান। তাঁর প্রচারে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এদিন পানিহাটির ১৬, ১৭ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। বিকেলে কামারহাটির ২৬, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে নিবিড় জনসংযোগ সারেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত সকাল থেকে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায়। পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করেন তিনি। দুপুরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পানিহাটিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পান্তাভাত খান। এরপর পানিহাটির ত্রিকোণ পার্ক ও এঞ্জেলস নগর এলাকায় পথসভা করেন।
অন্যদিকে, এদিন বরানগর উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করেন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করতে করতে তিনি পাশের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরীশঙ্কর পাণ্ডে লেনে আসেন। সেখানে গোপাল চৌধুরীর চায়ের দোকানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। পাশেই তাঁর বাড়ি। দুই প্রার্থীর সাক্ষাৎ ও সৌজন্য বিনিময় হয়। তন্ময়বাবু বলেন, ‘আমি বরানগরের বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে আমি ওঁকে স্বাগত জানিয়েছি। রাজনৈতিক দল ও মত আলাদা হতে পারে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সৌজন্য ও সুসম্পর্কে ঘাটতি থাকা ঠিক নয়।’ সায়ন্তিকাও তন্ময়বাবুকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। বিকেলে সায়ন্তিকাদেবী ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে যান। বিশিষ্ট সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। দীর্ঘ সময় গল্প করে তাঁর আশীর্বাদ চান। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে সঞ্জীববাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক, ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ণ বসু ও স্থানীয় কাউন্সিলার নিবেদিতা বসাক। এদিন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ ও সিপিএম প্রার্থী তন্ময়বাবুও নিবিড় জনসংযোগ সারেন বিভিন্ন এলাকায়।