বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
হুগলি জেলায় তিনটি লোকসভা আসন হল: আরামবাগ, হুগলি ও শ্রীরামপুর। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অবশ্য হাওড়ার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রও আছে, কিন্তু হুগলির অংশই বেশি। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ভোটারদের যে পরিসংখ্যান পেশ করেছে, তা রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কমিশনের তথ্য অনুসারে, শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে মোট ভোটার ১৯২২৬৪৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে আছে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র। সেখানে ভোটার ১৮৮০৭৪৯ জন। আর তৃতীয় অর্থাৎ সবচেয়ে কম ভোটারের কেন্দ্র হুগলি। সেখানে ভোটার সংখ্যা ১৮৫৬৮৫৪। কিন্তু মজার কথা, এই হুগলি কেন্দ্রেই ‘লক্ষ্মী’রা পিছনে ফেলে দিয়েছেন পুরুষদের সংখ্যাকে। ওই কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯২৪৫৮৯ জন আর মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৯৩২২০১। অর্থাৎ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে পুরুষদের তুলনায় ৭৬১২ জন বেশি মহিলা ভোটার। বিধানসভার ভিত্তিতে বিচার করলেও ‘লক্ষ্মী’রা টেক্কা দিয়েছেন পুরুষদের। হুগলি লোকসভার চন্দননগর, চুঁচুড়া, পাণ্ডুয়া, ধনেখালি বিধানসভাতে মহিলা ভোটারের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ সাত বিধানসভার মধ্যে চারটিতে মহিলাদের ‘প্রাধান্য’ আছে। আবার, পুরুষদের সংখ্যা বেশি থাকলেও সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রে নারী-পুরুষের ব্যবধান মাত্র ৫৫৩।
বাকি দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে অবশ্য পুরুষদের সংখ্যা মহিলাদের থেকে বেশি। আরামবাগে ৯২৮২৮৩ জন মহিলা ও ৯৫২৪৪৬ জন পুরুষ ভোটার। শ্রীরামপুরে পুরুষ ভোটার ৯৭০৬৯২, আর মহিলা ৯৫১৯০৬ জন। কিন্তু সেখানেও একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় গরিষ্ঠ। শ্রীরামপুরের উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে মহিলাদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তারকেশ্বরে মহিলারা স্পষ্টতই পুরুষদের পিছনে ফেলেছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ এই যে, হুগলির তিন লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে গতবার একমাত্র হুগলিই রাজ্যের শাসকদলের হাতছাড়া হয়েছিল। হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবারও লকেট নির্বাচনে লড়ছেন। আর এবারের নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলও একজন মহিলা তথা টিভি শোয়ের জনপ্রিয় সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে। তাতে জমে উঠেছে হুগলি আসনের লড়াই। মহিলাদের আধিপত্যের এই কেন্দ্রে শেষ পর্যন্ত ‘লক্ষ্মীলাভ’ কার হয়, সেটাই এখন আলোচ্য হয়ে উঠেছে।