বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মুম্বই হামলায় অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ডেভিড হেডলির সঙ্গে যোগাযোগ থাকা রাজারামকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে গ্রেপ্তার করে লালবাজার। অভিযোগ তিনি এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেসেজ করে তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের বাড়ি ও অফিসের ছবি তোলেন তিনি। এরপরই তাঁকে মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিস। ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজত শেষে রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে সরকারি আইনজীবী জানান, তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কলকাতায় কেন এসেছিলেন এবং অভিষেকের বাড়ি ও অফিসের ছবি তুললেন কেন, তা স্পষ্ট নয়। এমপিকে মেসেজ পাঠিয়ে দেখা করার উদ্দেশ্য কী ছিল, তারও ব্যাখ্যা মেলেনি অভিযুক্তের কাছ থেকে। তিনি নিজেকে ‘ব্যবসায়ী’ বলে দাবি করলেও তাঁর কোনও ট্রেড লাইসেন্স মেলেনি। তাঁর কোনও পেশা নেই এবং ব্যবসা করেন না তিনি। তাহলে তাঁর অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কী, জানা দরকার। এই বিষয়ে অভিযুক্তকে জেরা করা হলেও তাঁর কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর মেলেনি। তাঁর সঙ্গে তেলেঙ্গানা, মুম্বই ও হায়দরবাদের বিভিন্ন ব্যক্তির যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। কেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি, তার তদন্ত চলছে। তিনি বিভিন্ন জায়গার ছবিও তুলেছিলেন। তাই তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
অন্যদিকে, রাজারামের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে কোনও উপযুক্ত নথিই পাওয়া যায়নি। তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল কেন? মুম্বই হামলায় তাঁকে রাজসাক্ষী করা হয়েছিল। ভারত সরকার ২০১৫ সালে তাঁকে পাসপোর্ট দেয়। কোনও নাগরিকের নামে অপরাধের অভিযোগ থাকলে তাঁকে পাসপোর্ট দেওয়ার কথা নয়। এদিনের সওয়াল শেষে রাজারামকে জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত।