বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
র্যাপটি বঙ্গ সিপিএমের সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিতও হয়েছে। তবে বিতর্ক তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গানটি নিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে সিপিএম। লাল পার্টির নেতৃত্ব এখন উল্টে বলছেন, ‘শিল্পীদের জিজ্ঞেস করুন।’ আর পার্টির নিচুতলার কর্মীরা বলছেন, ‘রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরতে গেলে অশালীন শব্দ প্রয়োগ করতে হয়? নেতৃত্বরা কি দেখছেন এগুলো?’
গত কয়েকদিন সিপিএমের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হচ্ছিল, ‘চল ফোট’ আসছে। এই র্যাপটির নামও হল ‘চল ফোট’। গানটি প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই অবাক! আরও অনেক শব্দ রয়েছে গানটির মধ্যে যেগুলি সাধারণত ভদ্র সমাজে উচ্চারণ করে না বাঙালি। ফলে বিতর্ক তৈরি হতে সময় লাগল না। আর বিতর্ক তৈরি হতেই দায় এড়ানোর পথে হাঁটলেন নেতারা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ি সাফ বলেছেন, ‘গানটা সিপিএমের পক্ষ থেকে হয়নি। গান লিখেছেন অর্ক মুখোপাধ্যায় আর লিখেছেন জয়রাজ ভট্টাচার্য।’ ‘কিন্তু গানের ভিডিও তো বঙ্গ সিপিএমের পেজ থেকেই প্রকাশিত?’ এই প্রশ্নের উত্তরে শমীকবাবুর বক্তব্য, ‘আমাদের পেজে আছে। অনেকের পেজেই আছে। এটা ওঁরা ব্যবহার করেছেন। জিজ্ঞেস করলে ওঁরাই বলতে পারবেন। আমাদের অনেক গণনাট্যের গান আছে। তার দায়বদ্ধতা আমাদের। এটার দায়বদ্ধতা আমাদের নয়।’ অর্থাৎ দলের পেজ থেকে আপলোড হলেও র্যাপটির দায় নিচ্ছেন না সিপিএম নেতারা।
এই র্যাপ যিনি লিখেছেন সেই জয়রাজ ভট্টাচার্য বলছেন, ‘আমি এই প্রথম এরকম একটা মতামত শুনলাম। এটা একটা র্যাপ। র্যাপ মূলত ফ্রেঞ্চ ব্ল্যাক মুভমেন্টের সময় তৈরি হয়। র্যাপের প্রাথমিক বৈশিষ্ট অশালীন শব্দের ব্যবহার। আমার মনে হয়, এই শব্দটা বহুল প্রচলিত। হ্যাঁ অশালীন শব্দ কিন্তু অত্যন্ত গুরুতরভাবে কাউকে নিচু করা হচ্ছে এরকম কোনও উদ্দেশ্য এটার নেই।’
ফলে নিচুতলায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ‘আহ্বান শোনো আহ্বান’ বাজবে। ‘ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না’ বাজবে। কিন্তু রাস্তাঘাটে চল ফোট বাজানোর রুচি দেখাবেন না কর্মীরা।