বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার খড়িডাঙা এলাকায় দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় জখম হন কালীদাস বাছার নামে এক বিজেপি কর্মী। মঙ্গলবার সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্যনেত্রী অর্চনা মজুমদার সহ আরও কয়েকজন। অভিযোগ, রেখাদেবী এলাকায় ঢুকে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। তাতে উত্তেজিত হয়ে এলাকার মহিলারা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। এনিয়েই শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের তুমুল বচসা ও ধস্তাধস্তি। ক্ষিপ্ত মহিলারা লাঠি, ঝাঁটা হাতে নিয়ে রীতিমতো তাড়া করেন বিজেপির প্রার্থী সহ নেতানেত্রীদের।
রেখা বাছার নামে এক স্থানীয় গৃহবধূ বলেন, ‘বিজেপি প্রার্থী এলাকায় এসে উস্কানি দেন। বাধ্য হয়ে আমরা ওঁকে এলাকা থেকে চলে যেতে বলি। আমাদের এলাকা শান্ত ছিল। কিন্তু উনি এসে অশান্ত করলেন।’ এক মহিলা বলেন, ‘এক বিজেপি নেতা আমাকে চূড়ান্তভাবে হেনস্তা ও শ্লীলতাহানি করেছে। যে বিজেপির এখন মহিলা দরদ উপচে পড়ছে, তাদের দলের কর্মীর হাতেই আমাকে হেনস্তা হতে হল। বাধ্য হয়ে আমরা রুখে দাঁড়াই।’ এ বিষয়ে প্রার্থী রেখাদেবী বলেন, ‘আমি গিয়েছিলাম আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন মহিলাদের প্ররোচনা দিয়ে আমাকে ও অর্চনা মজুমদারকে মারধর ও হেনস্তা করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর আমরা পঞ্চায়েত প্রধান সহ সাতজনের নামে অভিযোগ করেছি।’
যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সমীর বাছার বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। বিজেপি প্রার্থীর উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন এলাকার মহিলারা। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান।