বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্করবাবু অনুকূল ঠাকুরের ভক্ত ছিলেন। প্রতিবেশী ও বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। তাঁর ছেলে অভিজিৎ ওরফে বাপ্পা নির্বিবাদী ছিলেন। গত বছর ২৩ জুলাই স্ত্রী মুনমুন হালদার বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পরিবারের সকলে ভেঙে পড়েছিলেন। এদিন ঘটনার খবর পেয়ে সোদপুর থেকে দৌড়ে এসেছিলেন বাপ্পাবাবুর দিদি তাপসী অধিকারী। চোখের জল মুছে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ভাইপো বর্ণের সঙ্গে কথা হয়েছিল। বর্ণ বলেছিল, এবার তার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। ভাই বলেছিল, বর্ণের পড়াশুনার সুবিধার জন্য মোবাইল কিনবে। ভাইয়ের বউ বাড়ি ছাড়ার পর ও ভেঙে পড়লেও পরে মানিয়ে নিয়েছিল। শুক্রবার বাবা ও ভাইকে বার বার ফোন করলেও কেউ ধরেনি। আজ সকালে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে দৌড়ে এসেছি। ভাই নিজের বাবা ও ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হতে পারে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।
শঙ্করবাবুর আত্মীয় হৃষিকেশ দাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় দেখি বর্ণ মিষ্টি কিনে ফিরছে। ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। প্রতিবেশী তথা স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক সোমনাথ সরকার বলেন, পাড়ার সকলের সঙ্গে ওদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। দাদা বিশ্বাস করতেন, একদিন তাঁর স্ত্রী ফিরবেন। এমনকী, মাঝে একবার ফোন করে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরতেও বলেছিলেন। নিজের স্ত্রী অন্যের হাত ধরে চলে গেলেও কোনওদিন স্ত্রীর সঙ্গে বা ওই ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। আমরা চাই পুলিস তদন্ত করে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করুক।
হালদার বাড়িতে রান্নার কাজ করা কৃষ্ণা মাঝি বলেন, প্রতিদিন সকাল ৯টায় আমি যেতাম। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে দু’বেলার রান্না করে চলে আসতাম। বৃহস্পতিবার রান্না করে এসেছিলাম। শুক্রবার বাইরে থেকে দরজা বন্ধ দেখে অবাক হয়েছিলাম। তাও বেশ কয়েক বার ডাকাডাকি করে চলে এসেছিলাম। এমন ঘটবে স্বপ্নেও ভাবিনি।- নিজস্ব চিত্র