বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বরানগর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ২৫, নিরঞ্জন সেন নগরের বাসিন্দা ছিলেন শঙ্করবাবু। তিনি বরানগর পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত সাফাইকর্মী। তাঁর ছেলে বাপ্পার স্টেশনারি দোকান থাকলেও তিনি বছর খানেক তা খুলতেন না। মানসিক অবসাদগ্রস্ত বর্ণ নবম শ্রেণির ছাত্র। বাপ্পাবাবুর স্ত্রী মুনমুন হালদার গত বছর জুলাই মাসে পরিবার ছেড়ে স্কুল জীবনের প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন।
তিনতলা বাড়ির একতলার দু’টি ঘরে ছেলে ও নাতির সঙ্গে শঙ্করবাবু থাকতেন। এছাড়া একতলার একটি ঘর এবং বাকি দু’টি তলার সব ঘরেই ভাড়াটিয়া আছে। প্রতিবেশী গৃহবধূ কৃষ্ণা মাঝি সকাল ৯টা নাগাদ তাঁদের বাড়ি এসে দু’বেলার রান্না করে দিতেন। শুক্রবার সকালে তিনি দরজায় চাবি লাগানো দেখে ফিরে যান। শনিবার দুপুরের পর থেকে প্রতিবেশী ও ভাড়াটিয়ারা দুর্গন্ধ পেতে শুরু করেন। ইঁদুর মরতে পারে ভেবে কেউ তেমন আমল দেননি। রবিবার সকাল থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয়রা পাশের ক্লাবে বিষয়টি জানান। সবাই মিলে উদ্যোগ নিয়ে ঘরের পিছনের দিকের একটি ভেজানো জানলা খুলতেই দেখা যায়, মেঝেতে শঙ্করবাবুর দেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে দ্রুত বরানগর থানার পুলিস এসে তালা ভেঙে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে। ঘরের ডাইনিংয়ে বাপ্পা ও বর্ণের দেহ পড়েছিল। শঙ্করবাবুর দেহ ছিল তাঁর বেডরুমের মেঝেতে। ঘরজুড়ে ছড়িয়েছিল শুকিয়ে যাওয়া চাপচাপ রক্ত। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।