বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ভোট শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন লাগাতার চেষ্টা চালায়। তারপরও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা সামনে আসে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকে ভোট দিতে যান না। স্বপন দত্ত এ ছবি দেখেছেন বহু ভোটে। তাই কারও কথায় নয় নিজে ঠিক করেছেন, ভোট শান্তিপূর্ণ করতে ও মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে গান গাইবেন। নিজের লেখা গানে সুর বসিয়েছেন। তারপর চালাচ্ছেন নিরপেক্ষ প্রচার। গানের ছত্রে ছত্রে কেবল সচেতনতার বার্তা। অলিগলি ঘুরে হাতে একতারা নিয়ে গান গেয়ে যাচ্ছেন গেরুয়া পোশাক পরা মানুষটি। লোকে ভিড় করে শুনছে সে গান। একতারা বাজিয়ে, পায়ে ঘুঙুর বেঁধে নাচের তালে মনোযোগ আকর্ষণ করে নিচ্ছেন সবার। তিনি বলেন ‘এটা করে আমার মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। নির্বাচন কমিশন টাকা খরচ করে প্রচার করছে। এতবড় কর্মযজ্ঞে আমার একটাই আবেদন, ‘সবাই গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হোন। তাই নিজের লেখা গানে সুর দিয়েছি আমি নিজেই। আমার সংসারে অভাব আছে, তারই মধ্যে ভোট এলে সচেতনতা প্রচারে নামি। লালনের সুরে মানুষের মনে দাগ কাটতেই এই প্রয়াস।’ স্বপনবাবুর দাবি, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশনকে আরও কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিস ও প্রশাসনকেও সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। আর তা যদি না হয় তাহলে আবার বোমাবাজি হবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে।’ ভোটারদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের কাছেও তিনি বলেন, তাঁরা যেন ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি না করেন। গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটাধিকার থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হন। শনিবার বারাসতের বিভিন্নপ্রান্তে সাধারণ ভোটারদের উৎসাহিত করলেন শিল্পী। লোকশিল্পীর পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে রাজ্যের নানা জায়গায় ঘোরেন। যান গ্রামেগঞ্জেও। ‘নিজের ভোট নিজে দিন, নির্ভয়ে ভোট দিন’, এই আবেদন নিয়ে গান লিখে সুর করে ডুগি ও একতারা বাজিয়ে সচেতন করে চলেছেন তিনি।