বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলের মতে, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এবার রাজ্যে আগাম বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কী কী করতে পারবে এবং কী কী পারবে না, তৈরি করা হয়েছে তার পৃথক তালিকা। তার প্রথমেই আছে গুলি চালনার বিষয়টি। এতে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, নির্বিচারে গুলি চালানো যাবে না। একমাত্র নিজেদের সুরক্ষা এবং ভোটকর্মী ও ইভিএমের নিরাপত্তায় ‘শেষ অস্ত্র’ হিসেবেই গুলি চালানো যাবে।
ভোটের ডিউটিতে আসা কেন্দ্রীয় জওয়ানদের জন্য যে নির্দেশিকাগুলি সিইও পাঠিয়েছেন, তা ইংরেজি ও হিন্দিতে ছাপাতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকা সংবলিত লিফলেট ছাপিয়ে তা জওয়ানদের মধ্যে বিলি করতে হবে। সেটা করতে হবে জেলা পুলিস সুপার এবং কমিশনারদের তত্ত্বাবধানে। গুলি চালনায় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জওয়ানদের। যেমন—তাঁরা যেন কোনও প্রলোভনে পা না দেন। ভোটকর্মী বা অন্য কারও কাছ থেকে চা, সিগারেট প্রভৃতি কোনও কিছুই গ্রহণ করবেন না তাঁরা। একদিকে কারও প্রতি অনাবশ্যক ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ আচরণ করা যাবে না, অন্যদিকে খারাপ ভাষার ব্যবহার কিংবা অপ্রয়োজনে জুলুমও করা চলবে না তাঁদের। বিশেষ কোনও জনগোষ্ঠী, জাতি প্রভৃতির সঙ্গে অন্তরঙ্গতা প্রদর্শনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একজন ভোটারকে কারও পক্ষে ভোট দিতে বলাও জওয়ানদের জন্য দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, নিরাপত্তা প্রদান ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে অংশ নেবেন না কেন্দ্রীয় জওয়ানরা। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ ছাড়া তাঁরা বুথের মধ্যেও প্রবেশ করবেন না।