বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের তদন্তে মোজাম্মেল শরিফ তদন্তকারীদের কাছে অন্যতম বড় অস্ত্র। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তহ্বা ও সাজভির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের দেখা হয় বেঙ্গালুরুতে। মোজাম্মেলের বাড়িতে নাশকতার ছক কষে তহ্বা। বিস্ফোরণের পর পালানোর রাস্তা তৈরি হয়ে যায়। পলাতক অবস্থায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য বেঙ্গালুরুর একটি দোকান থেকে দুটি পুরনো মোবাইল কেনে মোজাম্মেল। সেই দুটি ওই দু’জনকে দেয় সে। কিন্তু মোবাইল দুটি বেশিদিন ব্যবহার করলে আইএমআই ট্র্যাক করে পুলিস ধরে ফেলতে পারে। একথা মাথায় রেখে কলকাতা থেকে রাঁচি গিয়ে চারটি পুরনো মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ আনে তারা। একজন আইএস হ্যান্ডলারের সঙ্গে দেখা করতে তারা ঝাড়খণ্ড থেকে গিয়েছিল ত্রিপুরা। তদন্তকারীদের কাছে খবর, ওই হ্যান্ডলার তাদের বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়ার ছক করেছিল। তবে ওই হ্যান্ডলার এরাজ্যের ‘ভাই’ নাকি অন্য কোনও জায়গার লোক, তা জানার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, ‘ভাই’ এরাজ্যের বাসিন্দা। অনেকদিন ধরেই সে মডিউলের সদস্য। বাংলাদেশে আইএস মডিউলের যে সদস্য তাদের সঙ্গে ডার্কওয়েবের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিল, তার নাম কী? অফিসাররা তা জানার চেষ্টা করছেন।
তিন অভিযুক্তের মোবাইল ঘেঁটে একাধিক ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ পেয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা। সেগুলি খোলা হয়েছিল আইএসের একাধিক মডিউল মেম্বারের নামে। এর মধ্যে এরাজ্যের কয়েকজনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিদেশ থেকে ক্রিপ্টো কারেন্সি আসার পর সেগুলি ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে কলকাতার কয়েকজন হাওলা কারবারি। পলায়ন পর্বে এই নগদ অর্থ দুই জঙ্গির কাছে পৌঁছ দিতে সাহায্য করে মডিউলের মেম্বাররা। তাদের চিহ্নিত করতে মরিয়া এখন এনআইএ।