কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
সোমবার সকাল থেকেই মহানগরের শিরোনামে গড়িয়াহাট। কেন এই খুন? নেপথ্যে কী? এমন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করেছে দিনভর। সুবীরবাবু এবং গাড়িচালক—কারও মোবাইল ফোনের হদিশ মেলেনি। পাওয়া যায়নি ধারালো মারণ অস্ত্রটিও। ৬১ বছরের সুবীরবাবু এবং ৬৫ বছরের রবীন মণ্ডলকে খুনের পিছনে কি শুধুই সম্পত্তিগত ঝামেলা? নাকি বাইরের ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা রয়েছে? ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিস। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। আর তদন্তভার হাতে নিয়েছে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ।কাঁকুলিয়া রোডের এই বাড়িটি সুবীরবাবুদের পৈতৃক সম্পত্তি। উপরতলায় কেউ থাকেন না। নীচতলা ভাড়া দেওয়া রয়েছে একটি কোম্পানিকে। সুবীরবাবুর বৃদ্ধা মা আগে উপরে থাকতেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সুবীরবাবু তাঁকে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। ফাঁকা বাড়িটি বছর চারেক ধরে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যেই দালাল ও প্রোমোটাররা দেখতে আসতেন। রবিবারও গাড়ির চালক রবীনবাবুর মোবাইলে এক দালালের ফোন আসে। দালাল জানান, ‘ক্রেতা নিয়ে আসছি। কাগজপত্র আনতে হবে।’ কঁাকুলিয়ায় সুবীরবাবু পৌঁছে যান। সময় সাড়ে পাঁচটা। তারপর থেকে তাঁদের আর কেউ বাড়ি থেকে বের হতে দেখেনি। পুলিসের অনুমান, তার এক ঘণ্টার মধ্যেই হয়েছে জোড়া খুন। একতলা ভাড়া নেওয়া কোম্পানির এক কর্মীর কথায়, ‘মেজেনাইন ফ্লোরে আমাদের কম্পিউটার রুম রয়েছে। শনিবার এই রুমের দরজা আমরা টেনে দিয়ে গিয়েছিলাম। সোমবার অফিসে এসে দেখি, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বাড়িওয়ালার অংশ থেকে ঘরে না ঢুকলে, এমনটা করা সম্ভব নয়।’ রহস্য কিন্তু এখানেও।