কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
ডুবে যাওয়া নৌকাটিও। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের দমকল এলাকার ৯ জন মৎস্যজীবী শনিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। হাসান মোল্লার নৌকায় তাঁরা গিয়েছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওইদিন প্রবল ঝড় নামে। সুন্দরবনের চাঁদদোয়ানি জঙ্গলের কাছে তাঁদের নৌকায় জল ঢুকে ডুবে যায়। কোনও ক্রমে তাঁরা সাঁতরে জঙ্গলের কিনারে গিয়ে ওঠে। বাঘের আতঙ্কে তাড়া করে তাঁদের। গাছের ডালের উপরেই দুই রাত কাটাতে হয় মৎস্যজীবীদের।
মৎস্যজীবীদের আটকে থাকার খবর গ্রামে এসে পৌঁছলে পরিবারে কান্নাকাটি পড়ে যায়। এরপরেই এদিন সকালে স্থানীয় মৎস্যজীবী ইয়াসিন গাজী কয়েকজনকে নিয়ে নৌকা করে উদ্ধার কাজে বেরয়। তিনি জানান, কান্তিবাবু বলেন, সবরকম সাহায্য করা হবে। কিন্তু যে করেই হোক ওদের উদ্ধার করতে হবে। এদিন উদ্ধার করতে গিয়ে বেগতিক অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় আমাদের। এত জলের ঢেউ নৌকা নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। কোনওক্রমে তাঁদের সন্ধান পাই। সবাইকে গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়। কান্তিবাবু ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন সব সময়। মৎস্যজীবীরা বলেন, আমরা জানতাম না প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম ঘোষণার কথা। তার আগেই মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। আচমকা ঝড়ে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। নৌকা ডুবে যায়। দুই রাত সঙ্গে রাখা মুড়ি, খই খেয়েই দিন কাটে আমাদের। এর মধ্যেই গ্রামে একবার যোগাযোগ করতে পেরেছিলাম। তবে এইভাবে বেঁচে ফিরব ভাবিনি। এর জন্য কান্তিদা ও ইয়াসিনকে সাধুবাদ জানাতে হয়।