কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর তারকেশ্বর ব্লকে ৯০টি মৌজায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। বন্যাতে আগেই কিছু জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর আমন ধান, ১৫০ হেক্টর আউশ ধান ও ২৫০ হেক্টর সব্জি চাষ হয়েছে এই বছর। তারকেশ্বর নতুন গ্রামের কৃষক তারকনাথ মাঝি বলেন, অতি বর্ষণের ফলে ধানের ক্ষতি হয়েছে। এভাবে পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে গ্রামে খাদ্যের সমস্যাও হতে পারে। কারণ মজুত ধান কিন্তু কৃষকদের বাড়িতে নেই। ধান মজুত রয়েছে ব্যবসায়ী, মিল মালিকদের কাছে। বন্যা আর অতি বর্ষণের ফলে তিল, বাদাম কৃষকরা ঘরে তুলতে পারেননি। মাঠেই পচে নষ্ট হয়েছে। এবার ফলন হওয়ার মুখে এই বৃষ্টিতে সমস্ত ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেল। ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে কৃষকদের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হবে।
তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায় জানান, কৃষকরা এই বছর বারে বারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অতিবৃষ্টি বা বন্যায় বারেবারে নষ্ট হয়েছে ফসল। কোথাও ধানের ফলন এসেছে, কোথাও বা হলুদ হয়েছে ধান। এই অবস্থায় টানা বৃষ্টিতে সমস্ত ধান নষ্ট হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, প্রায় ৬০ শতাংশ ধানের ক্ষতি হতে পারে। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা সরেজমিনে দেখে বিস্তারিতভাবে এই বিষয়ে জানাবেন। বিমা ও অন্যান্য যে কোনও সমস্যার বিষয়ে আমরা সবরকম সহযোগিতা করব কৃষকদের।