কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
রবিবার গড়িয়াহাট থানার কাকুলিয়া রোডে পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছিলেন সুবীরবাবু। সেখানে তিনতলায় সুবীর চাকির এবং দোতলায় তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। দু’জনেরই গলায়, হাতে-পায়ে গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। পুলিসের অনুমান, সম্ভবত ওই ফাঁকা বাড়িটি বিক্রির জন্য কথা বলতেই গিয়েছিলেন তিনি।
বর্তমানে নিউটাউনের কারিগরি ভবনের কাছে এই অভিজাত আবাসনে থাকতেন পেশায় ব্যবসায়ী সুবীর চাকি। ২০১০ সালে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তিনি। এখানেই থাকেন তাঁর স্ত্রী, মা ও শাশুড়ি। আবাসনের সেক্রেটারি প্রদীপ্তবাবুর কথায়, ‘প্রায়ই কথা হতো সুবীরবাবুর সঙ্গে। দু’দিন আগেও কথা বলেছি। সজ্জন মানুষ ছিলেন। এদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খবরটা শুনে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।’ আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারাও বললেন, ‘প্রত্যেকের সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল সুবীরবাবুর। পুজোর আগে এই আবাসনে দু’বার টিকা দেওয়ার জন্য ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। তার সিংহভাগ দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিন নম্বর আবাসনের এই বাসিন্দা। দু’বারই দু’টি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবাসিকদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সুবীরবাবু।’
সুবীরবাবুর দুই সন্তান। ছেলে ঋদ্ধিমান চাকি থাকেন লন্ডনে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। কয়েকদিন বাদেই ছেলের ওখানে যাওয়ার কথা ছিল সুবীরবাবুর। ঘনিষ্ঠমহলে সে কথা জানিয়েও ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, গড়িয়াহাটের পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করার পর এই কর্পোরেট কর্তার লন্ডনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। তার আগেই নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন তিনি। একইসঙ্গে খুন হন তাঁর প্রায় ৩০ বছরের সঙ্গী গাড়িচালক রবীন মণ্ডল। এই জোড়া খুনে স্তম্ভিত পরিচিতরা। সুবীরবাবুর এক মেয়ে রয়েছে। তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। কয়েক বছর আগেই তাঁর বিয়ে হয়েছে। ছেলে ও মেয়ে দু’জনেই হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েছেন। তাঁরা এই খুনের ঘটনায় বিস্মিত। ‘দিন কয়েক বাদে বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল ইংল্যান্ডে। কথা রাখল না বাবা’, আক্ষেপ ঋদ্ধিমানের।