কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
অভিযোগ, তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা রবিবার বিকেলে শহরের মালঞ্চপল্লি এলাকায় গাজোলের বাসিন্দা ওই আদিবাসী শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেন। মারধর ও গালিগালাজ করার পর পোষ্য কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত শিক্ষকের বাবা ইংলিশবাজার থানায় পরিতোষবাবু ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইংলিশবাজার থানার আইসি আশিস দাস বলেন, পরিতোষ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।এদিকে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পরিতোষবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বারবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ডিএসএ) অন্যতম কর্তা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, আক্রান্ত স্কুল শিক্ষকের পরিবার উচ্চশিক্ষিত। তাঁর বাবা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পদে কর্মরত। আক্রান্ত শিক্ষক ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ও তাঁর সতীর্থদের জন্য মালদহ রাজ্যস্তরে দু’বার সেরার শিরোপা পেয়েছে। সেভেন চৌধুরীর এ ধরনের ঘটনার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। তফসিলি জাতি বা উপজাতিদের উপর হামলা বা তাঁদের অসম্মানজনক কথাবার্তা বলার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা যায়। ওই ধরনের মামলায় সহজে জামিন পাওয়া যায় না। একজন আইনজীবী হিসেবে বিষয়টি নিয়ে পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে আমি কথা বলব। ঘটনায় জেলার আদিবাসী মহল ক্ষুব্ধ। তাঁরা এদিন পুলিসের কাছে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি একজন ডিএসপি পদমার্যাদার আধিকারিক তদন্ত করে ছ’মাসের মধ্যে আদালতে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি। দিনের আলোয় তা ঘটেছে। ফলে প্রত্যক্ষদর্শীর অভাব হবে না। তাঁদের মুখ থেকে পুরো বিষয়টি পুলিসের শোনা উচিত। পরিতোষ চৌধুরীর সঙ্গীদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বছর পাঁচেক আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তাঁকে বহিষ্কার করি। তাঁর সঙ্গে বর্তমানে আমাদের দলের কোনও সংস্রব নেই। ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসক তথা মালদহ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুমালা আগরওয়াল বলেন, পরিতোষ চৌধুরী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন। শিক্ষককে মারধর সংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে পুলিসের এক্তিয়ারে রয়েছে। ফলে তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। আক্রান্ত শিক্ষকের বাবা বলেন, আমার ছেলে হবিবপুরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে। রবিবার শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখান থেকে বিকেল নাগাদ বাড়ি ফিরছিল। ওই সময় মালঞ্চপল্লি সাবওয়ের কাছে পরিতোষ চৌধুরী সহ আরও ১০-১২ জন ছেলে তার পথ আটকায়। সাইকেল চোর তকমা দিয়ে রাস্তায় ফেলে ছেলেকে মারধর ও গালিগালাজ করা হয়। পরে টেনে-হিঁচড়ে ছেলেকে পরিতোষবাবু তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ছেলের উপর তাঁর পোষ্য কুকুরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেলে দুই হাত ও ডান চোখে চোট পায়। তাকে চিকিৎসার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।