কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
মানিকতলা, হাতিবাগান, যদুবাবু, গড়িয়াহাট কিংবা লেক মার্কেট—কলকাতার বিভিন্ন বাজারে সব্জির দাম সাধারণের আয়ত্তের বাইরে। বিক্রেতারা বলছেন, চতুর্থী-পঞ্চমীর দিন থেকেই চড়া বাজারদর। পেঁয়াজ, পটল, কুমড়ো, ঢেঁড়শ, শশা, বেগুন সহ বিভিন্ন সব্জির দাম কোথাও দেড়গুণ, কোথাও দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা, পটল বিকোচ্ছে ৬০ টাকায়। একমাত্র আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও কুমড়োর দাম খানিকটা নাগালের মধ্যেই রয়েছে। ফল কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে গৃহস্থের। কলকাতায় বিভিন্ন বাজারে আপেলের দাম ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। পেয়ারার কেজি ৮০ টাকার নীচে নয়। পানিফলও ১০০ টাকা কিলো! নারকেল বিকোচ্ছে প্রতি পিস ৪০-৬০ টাকা, কলা ৬০ টাকা ডজন, শশার কেজি ৬০ টাকা। ফুলের বাজারেও চড়া দাম। জগন্নাথ ঘাটের পাইকারি বাজরের রেট বলছে, রজনীগন্ধা কেজি পিছু ২৮০ টাকা, পদ্ম বিকোচ্ছে ১৫ টাকা পিস, দোপাটি ১০০ টাকা কেজি, গাঁদা কেজি প্রতি ৪০ টাকা, গাঁদা মালা ঝুড়ি প্রতি ১৫০ টাকা, গোলাপের হাজার পিস ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মেদিনীপুর থেকে বহরমপুর, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্রই সব্জি কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে আমজনতার। লক্ষ্মীপুজোর আগে টোম্যাটোর দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, সব্জি আনার খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। ডিজেলের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকেছে একবার দেখেছেন! ফলে এমনিতেই যে কোনও সব্জির দাম কেজিতে পাঁচ-ছ’টাকা বেড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুরের বাজারে টোম্যাটো আসে বেঙ্গালুরু থেকে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগে এক লরি টোম্যাটো আনতে জ্বালানি খরচ পড়ত ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। একইভাবে বাঁধাকপি আসে নাগপুর, নাসিক থেকে। লরি ভর্তি সেই সব্জি আনতে যেখানে এক লক্ষ টাকা খরচ হতো, সেখানে ওই খরচ বেড়ে হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। নাসিকের পেঁয়াজের দামের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি খাড়া করছেন বিক্রেতারা। রাঁচির বেগুন এখানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পেট্রপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম সরাসরি কোপ বসিয়েছে সব্জির বাজারে।