কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
দুর্গাপুজোর আগেও বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছিলেন প্রতিমাশিল্পীরা। একই সমস্যা লক্ষ্মীর আরাধনার আগেও। দশমীর পর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সারাদিনই একটানা কখনও মাঝারি আবার কখনও হাল্কা বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে প্রতিমার মাটি শুকনো হয়নি। কাঁচা অবস্থায় রং চাপালে রং জৌলুস হারাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে শিল্পীরা হিটার অথবা ব্লু ল্যাম্প দিয়ে লক্ষ্মী প্রতিমা শুকনো করছেন। কিন্তু সমস্যা হল, এতে বিদ্যুৎ অথবা কেরোসিন তেল খরচের পাশাপাশি শিল্পীর পারিশ্রমিক বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমার দামও বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক মন্দার কারণে উদ্যোক্তারা অতিরিক্ত দাম দিতে রাজি নন। ফলে বিপাকে গোলা মালিকরা। একই সমস্যা কালী প্রতিমার ক্ষেত্রেও। একে পুজোর সময় শিল্পীরা ছুটিতে থাকায় কাজ এগয়নি। এরপর পুজো মিটতেই বৃষ্টি, যাতে কার্যত দিশাহীন গোলা মালিকরা। প্রতিমাশিল্পী অভিজিৎ পাল বলেন, করোনার পর থেকে এমনিতেই বাজার মন্দা। পাশাপাশি বারবার নিম্নচাপের বৃষ্টির জন্য প্রতিমার কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর একদিন বাদেই লক্ষ্মী পুজো। তারপর কালীপুজো। কীভাবে সব শেষ করব, জানি না। আরও এক শিল্পী আশুতোষ পাল বলেন, কাঁচামালের দাম অনেক বেড়েছে। কিন্তু সেভাবে প্রতিমার দাম আমরা বাড়াতে পারছি না। টানা বৃষ্টির জন্য প্রতিমার গায়ের মাটি শুকতে হিটার ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের খরচ বাড়ছে। সময়ও অনেক বেশি লাগছে। এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বায়না নেওয়া ঠাকুর দিতে পারব, তা নিয়ে চিন্তা থাকছেই।