নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বারাকপুর মহকুমার পুজো পথনির্দেশিকা প্রকাশিত হল। বৃহস্পতিবার বারাকপুরের পুলিস কমিশনার এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেন। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলমবাজার মঠের মহারাজ, বারাকপুরের মহকুমা শাসক আব্দুল কালাম আজাদ ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার অজয় ঠাকুর সহ বিশিষ্টরা। পুজোর পথনির্দেশিকায় তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রথমত মাস্ক, দ্বিতীয়ত স্যানিটাইজার এবং তৃতীয়ত শারীরিক দূরত্ব। পুলিস কমিশনার বলেন, ভ্যাকসিন আসতে এখনও সময় লাগবে। তবে উৎসবের মুহূর্তে সবথেকে বড় ভ্যাকসিন হচ্ছে মাস্ক। মাস্ক পরে রাস্তায় বেরতে হবে। যাঁরা মাস্ক পরবেন না, তাঁদের তা পরতে বাধ্য করতে হবে। সচেতন দর্শনার্থীদের এবিষয়ে নজর দিতে হবে। করোনা নিয়ে আমরা চিন্তায় রয়েছি। প্রতিটি পুজো কমিটির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সংক্রমণ যাতে কোনওভাবে না ছড়ায়, তার জন্য ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে। সেইসঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে জীবাণুনাশক স্প্রেও করতে হবে। মহকুমা শাসক আব্দুল কালাম আজাদ ইসলাম বলেন, উৎসবের দিনগুলিতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এদিন কমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় শোভাযাত্রা করা যাবে না। রাজ্য প্রশাসন যে নির্দেশিকা জারি করেছে, সেই অনুযায়ী পুজো করতে হবে কমিটিগুলিকে।
স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের আলোচনা হয়েছে। জেলায় স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ টিম থাকবে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝরাস্তায় কোনও দর্শনার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে বা তাঁর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে, সেই বাহিনী তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছবে এবং ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও পুলিসের বিশেষ প্রশিক্ষকপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরাও থাকবে। সুরক্ষাবিধিকে মান্যতা দিয়ে দর্শনার্থীরা প্রতিমা দর্শন করছেন কি না, এই বাহিনী সেদিকে নজর রাখবে। পাশাপাশি বারাকপুর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগের অফিসাররা যান নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।