শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, অত্যন্ত ধুরন্ধর অপরাধী এই সুবোধ এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করে রাখতে চাইছিল। মূলত শার্প শ্যুটার গ্যাং তৈরি করা ছিল তার লক্ষ্য। জেল বন্দি অপরাধীদের মধ্যে থেকেই গ্যাংয়ের জন্য ছেলে বাছাই করা হতো। গত দু’তিন বছরের মধ্যে কলকাতা সহ কয়েকটি জেলায় স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার অফিসে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সেগুলি সুবোধের গ্যাংয়েরই কাজ। তার টিম এসে সোনা ও নগদ লুট করে নিয়ে যেত। ওই সমস্ত ডাকাতির ঘটনার তদন্তসূত্রে বছর দুই আগে সুবোধকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তাকে একাধিক তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা জেরা করেন। এরপর তাকে জেলে পাঠানো হয়। দমদম জেলে অল্প কয়েকদিন ছিল সুবোধকান্ত সিং। সেখানে থাকাকালীনই পরিকল্পনামতো সুপারি কিলিংয়ের জন্য ‘বেঙ্গল টিম’ তৈরি করে ফেলে সে। শার্প শ্যুটার নিয়োগ পর্বও জেল থেকেই শুরু করে দেয় সুবোধ। দমদম জেলে ওই সময় বন্দি ছিল নাসের। তাকে বাছাই করে সুবোধ। এরপর নাসেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয় গ্যাংয়ের বাকিদের নিয়োগ করার। এই জেল থেকেই বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করে নাসের। জেল থেকে বেরিয়ে গ্যাংয়ের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। সুবোধ পাটনা চলে যাওয়ার পর সেখানকার জেল থেকেই ফোন করে নাসের এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। অফিসাররা জানতে পারছেন, বেঙ্গল টিমকে দিয়ে সুবোধ এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা তুলত। সুপারির বিনিময়ে খুনের বরাতও নিত সুবোধ গ্যাং। গত কয়েকবছরে রাজ্যে এমন কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সুপারি কিলার জড়িত থাকার বিষয় উঠে এসেছে। কিন্তু তাদের হদিশ পওয়া যায়নি। সুবোধ গ্যাংই এই সমস্ত খুনের নেপথ্যে কি না, তা হদিশ করার চেষ্টা চলছে । তদন্তকারীরা বলছেন, এমনকী সুবোধের এই বেঙ্গল টিম বিহার-ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়েও অপারেশন চালিয়ে এসেছে। মণীশ খুনের তদন্তের সঙ্গেই এগুলি নিয়েও আলাদা করে খোঁজখবর চলছে।